সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
কুসুম ওষ্ঠে পৌষধানের গন্ধ সরলতা নিয়ে
কিশোরী আসবে বলে অপেক্ষায় আছি।
অপেক্ষায় আছি বৃক্ষের মৌনতায়।
মেঘকে শিয়রে রেখে ‘ফটিক জল’ ‘ফটিক জল’
চাতকের কন্ঠে শুধু তোমার জন্য ফ্রলাইন
শুধু তোমার জন্য-
নির্জন সেলে পেটা ঘড়ির সময়ের হিসেবে
অপেক্ষায় আছি।
শীত কুয়াশায় মাখামাখি
ভোরের কিশোরী সাজি হাতে আসবে বলে
নষ্ট সুখ বিড়ম্বনা ভুলে
বহুসুখী থেকে সুখে আছি।
চৌকাঠে ছড়িয়ে পা, মাথা রেখে বিচ্ছিন্ন কপাটে
গভীর প্রত্যয়ে অকৃপণ বেঁচে আছি।
সোনার ছেলেরা ফিরে আয়
মা ও মাটির কাছে ঋণ স্বীকারে হারালি কোথায়!
কবরের শান্তিশয়ান মানায় না তোদের আর।
শান্তি নয় কিম্বা শামুকের মতো আঁটোসাঁটো খোলে চুপচাপ।
আয়, সোনার ছেলেরা ফিরে আয়।
ভালোবেসে মুগ্ধ হোক মন,
সংগ্রামে ইস্পাত হোক।
অনেক পুড়েছ জানি, শুষেছ আকন্ঠ গরল
কিন্তু এমনই তো কথা থিল।
ফিরে আয়, সোনার ছেলেরা ফিরে আয়।
ভালোবেসে সুখ-ভোর হয় যদি
তবে এত দ্বিধা কেন?
দশক, দশক মুক্তির দশক যদি
তবে, লড়াই থেমে থাকে কেন?
ধ্বংস আর নির্মাণের মাঝে
তোমার প্রেমিক এখন
বুকের মাঝে বারুদের স্তূপ নিয়ে বসে আছে ।
নির্বাসনে নয়। একাকীত্ব কিংবা বিচ্ছিন্নতা- তাও নয়।
তবুও একাকী রাত্রিদিন।
রাজপথ থেকে রাজপথে হেঁটে গেছি
এ শহরের প্রত্যেক গলিঘুঁজি আর মানুষের আস্তাকুঁড়
ঘুরে ঘুরে দেখেছি মানুষ।
প্রত্যেক চোখে রেখেছি চোখ।
জোয়ালের নীচে বলদের মত সেই চোখ
অহেতুক ব্যস্ত আত্মসমর্পণে।
তবুও বুকের মাঝে বারুদের স্তূপ।
একটি স্ফুলিঙ্গ প্রার্থনায় রাত জাগি,
একটি স্ফুলিঙ্গ শুধু- আত্মঘাতী হব!
হ্যাঁ প্রিয়তমা এভাবে এখন দিন কাটে রাত যায়-
একটি স্ফুলিঙ্গ প্রার্থনায়।
অথচ, মানুষের মাঝখানে মানুষের মত দাঁড়ালে দেখেছি
হৃদয়ের, প্রত্যন্ত প্রদেশ থেকে কেউ যেন বলে ওঠে
ধ্বংসে যোগ্য তুমি নও- যোগ্য হয়ে ওঠো নির্মাণে।
And what pain has more right to speak out in face of the beauty of nature then the noblest and most profound of all personal sorrows, the sorrow of love. F. Engels
এখন গভীর রাত গহন জঙ্গলে-
তীব্র ঝিঁঝিঁর ডাক, ঝোপে-ঝাড়ে জোনাকিরা টিপ্ টিপ।
রাইফেলে মাথা রেখে শুয়ে আছে কঙ্কাবতী।
জঙ্গুলে জানালার ফাঁক দিয়ে
চাঁদের আলপনা তার মুখে।
আমি মুগ্ধতায় মগ্ন হতে হতে ভাবি
রাত্রির প্রথম প্রহরে আমি যখন গভীর নিদ্রায়,
পাহারায় কঙ্কাবতী,
সেও কি এমন মুগ্ধ হতে চেয়েছিল?
হঠাৎ মুগ্ধ জাল ছিন্ন করে গোপন সংকেত-
‘রাত্রি দ্বিপ্রহর শেষ হলো’
এবার জাগবে কঙ্কাবতী।