সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
পাথর ফুটছে জলে
বাছারা তখন ঘুমিয়ে পড়েছে
ঘুমিয়ে পড়বে বলে।
বাছারা আমার ঘুমো,
পাথর এবার ঠান্ডা হয়েছে
ভাতের বদলে চুমো।
চুমোর বদলে ভাত?
ঘুমো বাছা ঘুমো চুমোর গন্ধে
অনেক হয়েছে রাত।
রাত শেষ হয়ে গেলে,
বুক জুড়ে শুধু পাথর রেখেছি
আবার ফুটবে বলে।
পাথর ফুটবে খুব,
ভাত ভেবে তুই ঘুমিয়ে পড়বি
স্বপ্নেও দিবি ডুব।
পাথর ফাটবে কবে?
ভাত নেই শুধু পাথর রয়েছে
দুইটি শেয়াল, হাড্ডিসার আর হাড়গিলে;
দুই ভেড়াকে লড়িয়ে দিলো কার্গিলে।
দুই শেয়ালের একই 'রা'-
বাছা আমার যুদ্ধু খা
মিলবে রুটি নেকড়ে দাদা ধার দিলে।
শেয়াল-২
ভাঙা বেড়া দেখেই শেয়াল টপকে এল বাগানেই,
ভাবল বুঝি বেড়ার এপার এখন কোন বাঘা নেই।
বাঘা ছিল বাটালিকে
বলল বেড়া ঘাঁটালিকে?
জানিস তো ভাই বেড়ার এপার তোর আর কোন ভাগা নেই।
কোভিড যখন সকল দোকান বন্ধ
থাকাই গণ্য
দু'কান কাটার দোকান খোলা
বিকিকিনির জন্য
এই আকালে সাত সকালে
কিসের বিকিকিনি?
দু'কান কাটা পিঁপড়ে কেনেন
ছড়িয়ে দেদার চিনি।
পিঁপড়ে কিনেই কান কেটে দেন
একখানা নয় দুইটি
কালকে দেওয়া গাল ভুলে আজ
ডাকতে থাকেন সুইটি।
সুইট সে সব পিঁপড়ে গুলো
আজকে বোতলবন্দী
দু'কান কাটার দোকান খোলার
বুঝলে অভিসন্ধি?
তোমার আমার সকাল বিকেল
বিনা চিনির চা।
দু'কান কাটার বোতল জুড়ে
লাল পিঁপড়ের ছা।
সম্বিৎ ফিরতেই দেখি সেই পাত্র,
বিদ্বেষ উপচানো মাখামাখি গাত্র।
গুজরাটি পাদুকার
পরিপাটি চাটুকার
নাগপুর টোল থেকে পাশ দেওয়া ছাত্র।
যুদ্ধকালে এই সকালে
জানাই তোমায় সুপ্রভাত
ট্যা কোরোনা, ফু কোরোনা
নামছে কোথায় অকাল রাত।
আমার যে ভাই যুদ্ধ চাই
নিদেন পক্ষে হালুম তো
ভোট বাজারে মহৌষধি
গুরুর কাছেই তালিম তো!
দেশের জন্য দ্বেষ ছড়াবো,
এদিক সেদিক লিঞ্চিইং
তাতেই জেনো ভাসবে জাহাজ
তোমরা ভাব সিংকিং।
ডুবোজাহাজ ভাসবে আবার
দ্বেষ প্রেমের জোয়ারে
রাখলে হরি মার বেটাকে
কেমন বারো পোওয়া'রে!
দেশপ্রেমে ও ভোট না দিলে
'মনকিবাত'এ তিলকে তাল-
উন লোগো ভাই মীরজাফর,
সব শহুরে নকশাল।
একটা ঘোড়া আড়াই টাকা,
একটা ঘোড়া তিন,
ঘোড়ার দালাল চেঁচিয়ে বলে
খবর ভিত্তিহীন।
একটা ঘোড়া চোদ্দ সিকি
একটা ঘোড়া সাত,
চারটে ঘোড়া ঘরে তুলেই
বাজার বাজিমাত।
'হাঁ-জী'এবং 'না-জী' ঘোড়াই
কাজীর কাছে গণ্য
একশ কোটি পাজি ঘোড়া
অশ্বমেধের জন্য।
অঙ্গে যখন বঙ্গভূষণ ব্রত তখন মৌন,
কাল যা ছিল মাথা ব্যাথার, আজকে সেসব গৌণ।
কাল যা ছিল প্রতিবাদের, আজকে সেটা মামুলি,
কালচার আনার শিল্পী ছিলাম, আজ পেয়েছি আধুলি।
ধৃতরাষ্ট্রের রাষ্ট্র জুড়ে কথক যারা সবাই ধৃত।
আমরা যারা বোবা, কালা, অন্ধ এবং স্বেচ্ছামৃত
গাইছি গাজন।
গাইছি গাজন, ধন্য রাজন—
নাচতে থাকুনপ্রলয় নাচন
ধর্মরাজ্যে ভস্ম যজ্ঞে আমরা দেবো গব্যঘৃত।
হেই ভগবান শুধুই গোবর?
একটু যদি ঘিলু দাও
সামনে বছর আলকেমিতে
নোবেল পাবে দিলুদা'ও।
এই যে দেখো সাদা দুধে
একটু যেন হলুদ টান
বালতি জুড়ে ঢেউ তুলেছে
বাইশ ক্যারাট সোনার বান।
হাসছো যারা হাসতে থাকো,
আমিও গোঁয়াড় ঘোষের পো
হলুদ রঙের ফর্মুলাতেই
জিতবো সোনার নোবেল তো।
হলদে দেখে ঘাঁটছে দিলু
সকালবেলার ইয়েটাও
বলছে, "বাওয়া পাক্কা সোনা-
সারবো এতে বিয়েটাও।"
ঝালে, ঝোলে, অম্বলে
গামছা, লোটা-কম্বলে
এই আমি সেই বোম ভোলে
দিব্যি আছি।
যুদ্ধে নামি বুক ঠুকে,
টুইটারে আর ফেসবুকে
বেচাল হাওয়ার গন্ধ শুঁকে
ডিগবাজি।
একটু ডানে, একটু বামে,
ইনকিলাব'এ, জয়শ্রীরামে
রুইতনে আর ইস্কাপনে
রাখছি বাজি।
যুক্তিবাদে, তুকতাকে
সাংষ্কৃতিক ঝিনচ্যাকে
ঝাঁকে এবং মৌচাকে
মৌমাছি।
এই আমি সেই ঝাঁকের কৈ
সেই যে মারে চারপো দই
ইন্ডিয়া সোফাসেটে স্কোর বোর্ড শুঁকছে।
আজ আবার কটা গেল, কতজন ধুঁকছে।
তারপর ব্রেকফাস্ট, বিস্কুট ও গ্রীনটি।
কপাল ছুঁয়েছে হাত ভালো যাক দিনটি।
এই ছবি মিলবেনা ভারতের ক্ষেত্রে
তাহাদের মন নেই স্কোরবোর্ড গাত্রে।
খেলাতার চিরদিন ভাতে আর রুটিতে,
মন নেই, মন নেই বেলাগাম ছুটিতে।
ইন্ডিয়া ফুঁসে ওঠে, হতভাগা বেল্লিক,-
করোনার ভয় নেই ? হেঁটে কোথা চললি ?
আভি সব হঠ যাও ঘুষ যাও ঘরবে,
তোদের জন্য দেখি ইন্ডিয়া মরবে।
ভারত হাঁটছে তবু দিল্লি ও পাটনায়,
কলকাতা, মুম্বাই, শিলিগুড়ি, ছাতনায়।
রাত নামে, ইন্ডিয়া ঘুম যায় ডিভানে।
ধুলো শুধু, ধুলো ওড়ে কোথাকার কে জানে?
একসে দাদা গোঁসাইদাদা আর এক দাদা পাত্র
হাঁদা-ভোঁদার ভজন গেয়েই ফর্সা রাখে গাত্র।
আমিও তাই সুধীরভাই
সেই হুঁকোতেই তামুক খাই
ভরসা রাখি ফর্সা হবো খাটছি দিবারাত্র।
গুরুদেব হেঁকে বলে বৈদিক সূত্রে,
করোনার যম আছে গোমাতার মূত্রে
তাই শুনে চাচা বলে ঝুট ক্যানে বল'বা
ঠিকঠিক নমাজেই করোনা ভাগলবা।
তারপর দিনশেষে এল যেই সন্ধ্যে,
গুরু নাকি ভালো নেই, চাচা আছে মন্দে।
গুরুদেব গুম হল, চাচা ঘরবন্দী
মাথা চুলকিয়ে বলে, চৈনিক ফন্দি।
চ্যালা বলে ফ্যালা গেল কতটা যে গোচোনা!
চাচা বলে রোনা মত আভি সহি সোচোনা।
করোনা তো থামবেনা মূত্রে বা নামাজে
বাড়ি বসে আঁকো তার দাঁড়ি আর কমা যে।
সবাই যখন দোনামনা,
কি বলব আর কি বলবনা
আকাশ পাতাল ভাবছে-
বলতে গিয়ে শুধুই গোঙায়
হাতের মুঠো ছেঁড়া ঠোঙায়
ভয় আর রাগে কাঁপছে।
তখনই সেই ভূষণতো,
কি যেন নাম প্রশান্ত
হক কথাটা বলতেই
বেরিয়ে এল হাজার মুঠি
ভয় ভাবনার আজকে ছুটি
জ্বলতে থাকে প্রতিবাদের সলতে
কবিবর রেগে গিয়ে হনুমান চালিশায়,
গালাগালি লেপে দিল কবিতার গালিচায়।
কবিতা তো নয় ওটা কবিতার ভ্যাঙানি,
অক্ষম রাগমাখা অবোধ্য গোঙানি।
হক কথা তারা খুড়ো হাওয়া দিলো সুযোগে,
বাঙালি তো বেঁচে থাকে হাওয়া আর হুজুগে।
আপনিও কম নন বিকিকিনি থাওকায়
নিজেকেও বেচে দেন ঠিকঠিক মওকায়।
হুজুগের অঙ্কে এ আমার অনুমান,
হুজুগের পেঁচা এলে হটে যাবে হনুমান।
হুজুগেই হনুমান বেড়ে গেলো বঙ্গে।
সেই ফাঁদে কবি মরে কবিতার সঙ্গে।
একটা ঘোড়া আড়া ইটাকা,
একটা ঘোড়া তিন,
ঘোড়ার দালাল চেঁচিয়ে বলে
খবর ভিত্তিহীন।
একটা ঘোড়া চোদ্দসিকি
একটা ঘোড়া সাত,
চারটে ঘোড়া ঘরে তুলেই
বাজার বাজিমাত।
'হাঁ-জী'এবং 'না-জী' ঘোড়াই
কাজীর কাছে গণ্য
একশ কোটি পাজি ঘোড়া
অশ্বমেধের জন্য।
আমাদের এই গোঠে,
সূয্যি যদি ওঠে
জানবে সেটা আমার ডাকেই
আমার ভয়েই ঘটে।
যদি সূয্যিমামা যায়,
জানো সেকার দায়?
সেই যে তোমার নরুচাচা
তেনারি আসকারায়....
আজ চাঁদ ঢেলেছে আলো,
কেমন করে হল?
আমার ভয়েই তোমার চাঁদু
সেজেছে জমকালো।
তবু ফুরুত করে বেশ
হঠাৎ হয়যে নিরুদ্দেশ,
দায়ী তোমার নরুচাচা
কুচক্রীর একশেষ।
তবু মেঘগুলোকে ছেনে
গোঠে বৃষ্টিধারা এনে
আমিই জেনো ভরসা জোগাই
তুমুল ধারা স্নানে।
এমন শিখছো যখন বাঁচা
তখন তোমার নরুচাচা
বাঁধ ছাপিয়ে ঘর ভাসালো
এমন হাঁড়িচাচা।
বলো আমি কি আর করি
তাই জপতে থাকি হরি,
গদি ছিল গদির মত সোজাই,
বসত রাজা বসাতো সব প্রজাই।
হঠাৎ কি ভূত চাপলো গদির ঘাড়ে,
রাজা নিয়েই উল্টে গদি পড়ে।
এমনি ভাবেই চলল বছর কতক,
একক রাজা হল দশক শতক।
নতুন রাজা তাই ভেবেছে যদি,
সোজাই বসে উল্টে নিয়ে গদি
থাকবেনা আর উল্টে যাওয়ার ঝোঁক-
বলবে সবাই নতুন রাজা দীর্ঘজীবী হোক।
চোখ কান নাক আছে পা'ও আছে দু'খানি
একজোড়া হাত সহ তালেবর মুখানি।
মাপ মত গোঁফ-দাড়ি ঝাঁপ ফেলাম গজে
ভবি ভুলে চুমু খাই ছবি ছাপা কাগজে।
প্রথা মত পেট আছে, পেটে নেই বিদ্যে
শুধু বলে মাঝরাতে ঘরে ঘরে সিঁদ দে।
সিঁদ কেটে চোর ঢোকে তিনি তাই পাহারায়
ভোর ভোর চোর সব চলে গেল সাহারায়।
তুমি ভাবো হাক পাল ঘরে এল কেনা কে ?
চোখ কান খোলা রেখো পেয়ে যাবে তেনাকে।
কিবলব? ঘৃণা?
ঘৃণা বললে ঠিক হবে কি,
তারচে বরং ঘেন্না বলি -
ঠিক বলেছি কিনা!
কি বলবেন থু:
থু: বললেই ঠিক হবে তা ?
থুতু ফেলতেই কৃপণতা,
বলুন ওয়াকথু: ।
কি বলবেন ছি ?
একখানা ছি এই বাজারে,
চলবেনা ভাই, একের দরে
আর একটা দিন ফ্রী।