সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা আমাকে ‘দ্য থার্ডম্যান’ ছবির পারমার্থিক শেষ দৃশ্যটির কথা মনে পড়ায়। পাতা ঝরার আওয়াজ ছাড়া গোটা দৃশ্যে অন্য কোনও কম্পন নেই। কোনও আন্দোলনও না। শুধু দূর থেকে হেঁটে আসে রুদ্ধবাক এক তরুণী, এবং, ক্রমশ, এমনকি ক্যামেরা উপেক্ষা করে অনন্তের দিকে চলে যায়। নিঃশব্দের আরাধনা বিশ্বচলচ্চিত্রে আরও দেখেছি। এটি তার মধ্যে করুণতম।
শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা এমনই নিঃশব্দ ও করুণ। স্তব্ধ ও সংযত। শান্ত ও রহস্যময়। এই রহস্য তীক্ষ্ণ নয়, মৃদু। এই ঘরানার আরেকজন কবিও আমাদের আরাধ্য। আলোক সরকার। নিঃশব্দের ভাষায় যাঁরা কবিতা লিখেছেন, বাংলায়, এখনও পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে সবার আগে মনে আসে আলোক সরকারের নাম। কোনও কিছু হয়ে ওঠা নয়, না-হয়ে ওঠাও নয় তাঁর কবিতা। শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কবিতাও তাই। বিশুদ্ধ শব্দটির নানারকম ছায়া আছে, জটিলতা আছে, অর্থান্তর আছে। কিন্তু এই শব্দটি আলোক সরকার আর শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার সঙ্গে কত তর্কাতীত ভাবে মানিয়ে যায়! অন্য কোনও কবি, এমনকি জীবনানন্দ প্রসঙ্গেও বিশুদ্ধতার ধারণাটি এমন সমতলভাবে স্মরণীয় মনে হয় না।
‘সমতল’ শব্দটি নিয়ে ভুল বোঝার সম্ভাবনা আছে। আমি মোটেই বলতে চাইছি না যে তাঁদের কবিতার ওঠা পড়া নেই, অন্ধকারের ডানা ঝাপটানো নেই। সব আছে, সময়ের থাবা তাঁদের কবিতাতেও ক্ষত তৈরি করেছে। কিন্তু আলোক সরকারের নিজেরই সুখ্যাত সেই কথাটি এখানে আবার মনে করতে চাইছি। বন্যায় যে বিপর্যয় হয়, তার বিবরণ দেয় খবরের কাগজ; আর এই বিপর্যয়ে আমার মনখারাপটুকু ধরে রাখে কবিতা।এই অর্থেই বিশুদ্ধতার সমতল ধারণাটি এই দুজনের কবিতা প্রসঙ্গে মানে পেয়ে যায়।
বিশুদ্ধতার রকমটি নিয়ে এবার কথা বলা জরুরি। বিশ্বের নানা সাহিত্য আন্দোলনের সঙ্গে এই ধারণাটি কোনও-না-কোনও ভাবে লেগে থেকেছে। সুররিয়েলিস্ট আয়োজনটির সঙ্গেও বিশেষভাবে। ব্রেঁতোর কথা মনে পড়বে, যিনি বলেছিলেন তন্ময় কবিতায় থাকে the dictation of thoughts, in the absence of all control by the reason, excluding any aesthetic or moral preoccupation. অতিরিক্ত সব অনুষঙ্গ বাদ দিয়ে শুধু ভাবনার তরঙ্গটি পড়ে থাকবে কবিতায়, বন্ধ দরজার নিচে মুখর আলোর রেখা যেমন, ঘরে রহস্য আর সম্ভাবনার সবটুকু ওই রেখায় সমর্পিত।
জীবনের শেষতম পর্ব পর্যন্ত শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা এই নীরব রেখাটির অতিরিক্ত আর কিছুই হয়ে উঠতে চায়নি। প্রত্যক্ষের নির্মল অর্চনা তাঁর কবিতা। নিসর্গ তাঁর কবিতায় আনন্দ ও শিহরণের উৎস। অসংকোচে বলেন তিনি :
বিনষ্ট করো না রেখে যাও :
এই সব জলচর প্রসন্ন পাখির মেলা,
নীলহ্রদ,
সবুজের দিব্যশোভা উপত্যকা,
দেবদারু ছায়া, বনভূমি,
যেখানে যেমন আছে রেখে যাও নিসর্গ-জগৎ।
স্থিতাবস্থার এই মধুর উপাসনাই তাঁর স্বভাব। এই অনুভবে আছে আর্তি, আকাঙ্ক্ষা ও বিশ্বাস। বিশ্বাস দৃশ্যের প্রতি, মাধুর্য ও সম্ভাবনার মানবিক উল্লাসের প্রতি। কেউ কেউ আধুনিক পরিবেশ সচেতন মনের নির্দেশেই এই কবিতাটি পড়তে চাইবেন, কিন্তু এই উচ্চারণে আছে সচেতনতার অতিরিক্ত দর্শন, আনন্দময় জীবনের প্রতি আসক্তির দর্শন। কারণ, একটু পরেই বলা আছে :
অপলক
চোখের আনন্দে শুধু দৃশ্যগত গভীরতা
অনুভব করো,
যেখানে যেমন আছে রেখে যাও নিসর্গ-সুষমা।
দৃশ্যের গভীরতর সুষমা অনুভব করার এই তাগিদের উৎস, আসলে, জীবনের উষ্ণ ও উদার পরম্পরা স্পর্শ করা বাসনা। তাঁর অনুভব : ‘সন্দেহ আমার, খুব নিশিরাতে বৃক্ষেরা নিশ্চিত কথা বলে।’ তাদের এই নির্জন উচ্চারণে টোল দিতে চান না তিনি, নীরবতার এই বিনিময় নষ্ট করতে চান না। কারণ তাঁর মনে হয়েছে, ‘সহসা নিকটে গেলে তারা বেশ সহজে সতর্ক হয়ে ওঠে!’ আমরা তো জানিই যে, মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের বিচারে আমেরিকার সবচেয়ে জনপ্রিয় কবি মেরি অলিভার কয়েকবছর আগে প্রয়াত হবার পর একজন বলেছিলেন, তাঁর লেখা পড়ে মনে হত তাঁর প্রিয়তম কাজ হল বনে গিয়ে একটা কুটির বানিয়ে কবিতা লেখা। কবির কাজ, বলতেন তিনি, এমনি চোখে যা দেখা যায় না, তা-ই দেখানো। পৃথিবীটাকে পরিশ্রুত করে নিয়ে তারপর পরিবেশন করা। শম্ভুনাথের অনেক কবিতায় পরিচর্যার এমন লালন টের পাওয়া যায়।
ইংরেজি ভাষার সবচেয়ে চেনা একটি প্রকৃতি প্রবণ কবিতাকে নতুন করে বুঝতে চেয়ে গোটা একটা বই লেখা হয়েছে। রবার্ট ফ্রস্টের ‘দ্য রোড নট টেকেন’ কবিতাটি নিয়ে পেঙ্গুইনের ঐ নামেরই বইয়ে লেখক ডেভিড ওর দাবি করেছেন এতদিন ধরে আমরা কবিতাটি ভুলভাবে পড়ছি। এই কবিতায় দুটি পথের কথা আছে। হলুদ বনের মধ্যে দুদিকে বেঁকে যাওয়া দুটি পথ। পথ দুটির দ্বিধাকবলিত সন্ধিক্ষণে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে, শেষ পর্যন্ত, কবি বিরলতম সরণিটি বেছেনিলেন। কবিতাটি, ডেভিডের মতে, পাঠককেও একাধিক সম্ভাবনার মোড়ে দাঁড় করায়। এই কবিতা কোথাও দাঁড়ি দেয় না। কোনও একটিই পথ মেনে নেবার সিদ্ধান্ত জানায় না।
আমি ডেভিডের সঙ্গে সহমত। যে কোনও সার্থক শিল্প তো এই আহ্বান নিয়েই পৌঁছয় আমাদের কাছে। বহুস্বরের এমন ইঙ্গিত শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ও অনেক কবিতার সম্পদ। প্রশ্ন, দ্বিধা ও সংশয়ে ভর তাঁর অনেক কবিতার। অতীত সম্পর্কে বর্ণনা দিয়ে শুরু হয় একটি কবিতা, রচিত হয় সৌন্দর্যের নানা মহল :
গভীর সূর্যাস্ত দেখে দেবদারু ছায়ায় বসেছো ;
বুক থেকে শাড়ীর আঁচল কিছু খসে গেছে অথচ তোমার
কিছুতে খেয়াল নেই, অধরে রক্তিম এত সুখ
যেন কেউ দংশন করেছে, তুমি তার
শিহরণে নতুন রোমাঞ্চ সুখে অচেতন হয়েছো এখন।
এমন মুগ্ধ ও বিনীত বর্ণনার ঠিক পরেই পাই এই প্রশ্নার্ত সংশয় :
তবে কি সকলে খুব সুখী হয় ভালবাসা থেকে
দূরে চলে গেলে?
সম্পর্কের ব্যথা ও বন্দনা শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অনেক কবিতার আশ্রয়। কখনও কখনও উপমা ও রূপকের আড়াল নিলেও শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ভরসা ছিল সাদা ও যথাসম্ভব নিরলংকার উচ্চারণেই :
আড়ালে রয়েছো তবু অধিকার-চিহ্ন তুমি রাখোনি আড়ালে,
দেখিয়ে দিয়েছো :
দূরন্ত দিনের ট্রামে দশজন কৌতূহলী মানুষের চোখে
ধরা পড়ে গেছি আমি, আশ্চর্য, বুকের কাছে এতটুকু
সিদুরের দাগে !
সিঁদুরের দাগের এই রক্তিম ইঙ্গিত অভিনব না হলেও এমন স্পষ্ট ও স্বতস্ফূর্ত বলাতেই সারাজীবন ভরসা রেখেছিলেন শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়। কবিতাটি পড়া শেষ করার পর শেষতম শব্দটি থেকে আবার নতুন করে পাঠকের যাত্রা শুরু হয় :
আমার সমস্ত কিছু, সোনাদানা কার কাছে বন্ধক রেখেছি,
বিনিময়ে পেয়েছি চোখের আলো---কার ভালবাসা---
গোপন সে কথা তুমি গোপনে রাখোনি।
দূর থেকে বুকের বাগানে হেসে উড়িয়ে দিয়েছো
বসন্ত দিনের লাল পাখি !
‘লালপাখি’ শব্দদুটির মধ্যবর্তী দ্বিধা না থাকায় পাখির রক্তিম উড়াল এতটা আগ্রাসী হতে পারল।
চেনা উপাদানেই সম্পর্কের ভাঙন ধরে দিয়েছেন শম্ভুনাথ আরও অনেক কবিতায় :
বুকের ভিতরে আছে কোন সাপ—তুমি তার সন্ধান জানো কি?
কাঁচের ওদিকে এসে ঘুরে যাও, কিছুই বোঝো না : তোমাকে নির্জনে দেখে ফণা তোলে দীর্ঘতম পিপাসা আমার,
ইচ্ছা হয় কণ্ঠ দেশে আঁকাবাঁকা খেলা করি কিছু....
যেখানে শরীর, জানি, সেখানে নিশ্চয় আছে শরীরের মোহ :
তবু ওই কাঁচ----
চিরকাল তোমাকে রেখেছে বড় নিরাপদে। আমাকে আড়ালে!
আড়াল তৈরির জটিল পর্যটনে শম্ভুনাথের বিশ্বাস ছিল না। কিছুটা উদার ও স্বচ্ছন্দ আয়োজনে ছড়িয়ে কথা বলতে ভালোবাসতেন তিনি। কথার চারপাশে ছোট ছোট গমকের কাজ বুনে দিতেন। কিছু দুর্গমতা থাক ---- চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এই দুর্গমতায় কোনও বাধা নেই, বৈরিতা নেই। প্রিয় দৃশ্য সুখের জন্য, আখরোট গাছের কিছু প্রাচীন সুগন্ধ শিহরণের জন্য আজন্ম কামনা ছিল তাঁর। তাঁর এই শান্ত ও আত্মস্থ ভঙ্গির একটি উজ্জ্বল ফসল এই কবিতাটি :
তুমি যেন আরবী গ্রামের ভিতরে উজ্জ্বল কোন বিয়েবাড়ি :
হাসিখুশির নীল হ্যাজাক জ্বলছে সামনে,
দলিজ থেকে দেওয়ালে নড়ছে কিছু ব্যস্ত প্রতিবেশী ছায়া,
আর সোনালি শামিয়ানা
মাথার ওপরে এক সোনালি আনন্দের আকাশ।
আমি অন্ধকার পথে যেতে-যেতে দেখি দূরের আলো...
অনুযোগহীন পথিকের এই চলন বাংলা কবিতায় শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় দান। এক অলৌকিক হারমোনিয়ামের অনুচ্চমূর্ছনা তাঁর কবিতা। অস্থিরতা তাঁর রক্তে থাকলেও তার ঘোষণা নেই তাঁর কবিতায়। জীবনানন্দের বিপন্ন বিস্ময়ের প্রায় প্রত্যক্ষ অনুসরণ পাই কখনও :
কখনো আনন্দ আর কখনো বিষাদ
হৃদয়ে ধ্বনিত হয়। দৃশ্যে যথারীতি
চলাফেরা। সংসারের টান। স্বপ্ন সাধ।
দক্ষিণ সমীরে দুলে ওঠে তার স্মৃতি
কৃষ্ণচূড়া ফুল। সে যে মুগ্ধ এক প্রাণ।
সারাদিন ব্যস্ত। কাজে। সন্ধ্যাবেলা ফিরে
গীটারে রবীন্দ্র-সুর। রমণী শরীরে
স্বর্গের সুষমা দ্যাখে। রক্তে বাজে গান।
তবু তার জন্মে আছে অন্য কোন ক্রূর
নক্ষত্রের অভিশাপ। তাই ছন্নছাড়া
সে মানুষ। তৃপ্তি নেই কোন সুখে তার।
কিন্তু এই অতৃপ্তির পরিণামে নির্মিত হয় শান্ত কবিতার জগত। এই জগতই হয় তাঁর আশ্রয় :
চতুর্দিকে ঘিরে তাকে গল্প করে যারা
বন্ধু তারা নয়। তাই শান্ত কবিতার
জগতে সে আছে। একা। নির্জন সুদূর।
সুদূর ও নির্জন এই জগতের শর্তহীন প্রতিষ্ঠায় শম্ভুনাথ সারা জীবন অবিচল ছিলেন। দূরের মাঠ নদী জল ‘যেমন মায়াবী ছবি রৌদ্রালোকে তুলে ধরে’, তাকে নিকটে পাবার সাধনা তাঁর কবিতা। এই সাধনায়, আমি যতটা পড়েছি, কোনদিনও কোনও উল্লেখযোগ্য ভাঙন তৈরি হয়নি। কখনও বিমর্ষ হয়েছেন, ঈষৎ বিষন্ন ও স্তব্ধও হয়ত। কিন্তু বিশ্বাস করেছেন
তবু দুটি নীল তারা উজ্জ্বল চোখের মতো
ভেসে ওঠে মেঘের শিখরে।
শিশুর মুখের গন্ধ ঘাস রোদ মাছরাঙা নক্ষত্র আকাশ ভরা জীবন এতটাই প্রিয় ছিল শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের যে এমনকি জীবন থেকে সরে গিয়ে, দূর থেকে, এই জীবনের স্থাপত্য পরখ করতে চেয়েছিলেন তিনি :
তাই বুঝি ইচ্ছা হয় জীবনের সীমারেখা সব
সহসা নিশ্চিহ্ন করে একবার গভীর নীরব
ব্যবধানে সরে যাই— তারপর অন্য কোন চোখে
দেখি চেনা ঘরবাড়ি বারান্দায় গোলাপের টব
পুরনো জীবন কত স্পষ্ট হয় নতুন আলোকে
ভয়ানক ইচ্ছা হয় গাঢ় লাল মেঘের বিকেলে !
জীবনের এই পড়ন্ত রং আরও তাৎপর্যপূর্ণ এই জন্য যে ঠিক এই অবসরেই জীবনের দিকে ফিরে তাকাতে চেয়েছেন তিনি। মনে পড়বে তাঁর নিজের কথা : ‘জীবনকে ভালোবেসেই নির্জনে নীলিমার দিকে প্রসারিত হয়েছে আমার যাত্রাপথ।’
জীবনের প্রতি এই উৎসাহই তাঁকে মহাসময়ের প্রেক্ষাপটে নিজের অবস্থান বুঝতে মনোযোগী করেছিল। বুঝেছিলেন :
আমি কে ? আমি তো এক সংপ্রাচীন দীর্ঘ জীবনের
উৎসমুখ থেকে
অস্থি-পাথরের গূঢ় অন্ধকার জটিলতা থেকে প্রবাহিত
কিছু, প্রাণবীজ কিছু রক্তজলধারা...
বর্তমান কাল ছুঁয়ে ভবিষ্যতে দূরে প্রসারিত
কিছু অনুভব কিছু আলোকিত তরঙ্গচেতনা...
দৃশ্যে এই আমি।
মহাবিশ্বলোকের ইশারা থেকে উৎসারিত সময় ও ইতিহাসচেতনা আমাদের ভাষার অনেক প্রধান কবির মত শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়েরও কিছু কবিতার মৌলিক উৎস।
রবার্ট লিন তাঁর সম্পাদিত একটি ইংরেজি কবিতা সঙ্কলনের ভূমিকায় লিখেছিলেন, কবিতা আমাদের জীবন থেকে সরিয়ে দিয়ে আবার জীবনেই ফিরে আসতে শেখায়। একই সঙ্গে তাঁর সমান রোমহর্ষক ভাষ্য ছিল, দ্বিতীয় প্রত্যাবর্তনটি না ঘটলে প্রথমটির কোনও মর্যাদা নেই। বাংলায় আরও কয়েকজনের মত শম্ভুনাথ চট্টোপাধ্যায়ের কবিতাও এই মহৎ প্রত্যাবর্তনের শরিক করে আমাদের।