সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
প্রসঙ্গ
কেন চ্যান্টাল মফ মনে করেন যে বাম লোকপ্রিয়বাদের জন্য এটা সঠিক সময়
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন: মাইকেল ক্যাল্ডারব্যাঙ্ক
প্রকাশ
‘ক্রিয়েটিং দ্য ফিউচার’, দ্য ওয়ার্ল্ড ট্রান্সফর্মড, সেপ্টেম্বর, ২২, ২০১৮
মাইকেল ক্যাল্ডারব্যাঙ্ক আপনার শেষ প্রকাশিত বইটির শিরোনাম রাখলেন, ‘ফর অ্যা লেফট পপুলিজম’ (‘বাম লোকপ্রিয়বাদের জন্য’) কেন?
চ্যান্টাল মফ আমরা বর্তমানে উত্তর-গণতান্ত্রিক সমাজে বাস করি। এই বিশেষ শব্দবন্ধটি এসেছে প্রথমত বাম ও ডান লাইনের মধ্যকার বিভাজন রেখার অস্পষ্টতার কারণে। আমার ভাষায়, এই পরিস্থিতির নাম দিয়েছি,
‘পোস্ট পলিটিক্স‘‘, ‘উত্তর-রাজনীতি’। এটি এই সত্য থেকে এসেছে যে প্রায় সব সামাজিক গণতান্ত্রিক দলই মনে করে শুধু নয়, এই ধারণা পোষণ করে যে, ‘নব্য-উদার বিশ্বায়নের’ কোনো বিকল্প নেই’। মূলত এই ধারণার বশবর্তী হয়ে নাগরিকেরা যখন ভোট দিতে যান, তখন তাদের কোনও পছন্দ থাকে না কারণ, কেন্দ্র-ডান এবং কেন্দ্র-বাম কর্মসূচির মধ্যে কোনো মৌলিক পার্থক্য নেই।
আমরা, আমাদের সমাজে এখন, ‘অলিগারচাইজেশন’, বা ‘মুষ্টিমেয় মাত্র কয়েকজন ব্যক্তির সরকার’, প্রত্যক্ষ করছি। আমরা প্রত্যক্ষ করছি, খুব ধনী ব্যক্তিদের একটি ছোট গোষ্ঠী আর বাকি জনসংখ্যার মধ্যে এক ক্রমবর্ধমান ব্যবধান। এ ছাড়াও নতুন যা প্রত্যক্ষ করছি তা হ’ল, বেসরকারিকরণের রাজনীতির ফলে এবং বিশেষ করে মিতব্যয়িতার অব্যবহিত পর থেকেই নিওলিবারাল নীতির প্রয়োগে মধ্যবিত্তের যাপন ক্রমান্বয়ে নিঃস্ব ও টলোমলো হয়ে গেছে। এরই ফলস্বরূপ শুরু হয়েছে ়, কেন্দ্রীয় ঐকমত্যের বিরুদ্ধে বহুধরনের প্রতিরোধের উত্থান।
আমি যাকে ‘লোকপ্রিয় মুহূর্ত’ বলি তা এই উত্তর-গণতান্ত্রিক পরিস্থিতিতে প্রতিরোধের সংখ্যাবৃদ্ধি দিয়ে চিহ্নিত করা যায়। এই প্রতিরোধ বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেয়েছে, সবসময়ই প্রগতিশীল, তা নয়। এইসব প্রতিরোধ, এক অর্থে, সবগুলিই ‘গণতান্ত্রিক দাবি’ প্রকাশ করে - আরও গণতন্ত্রের দাবি জানায়, জনমানুষের প্রত্যেকের নিজস্ব কণ্ঠস্বরের দাবি। কিন্তু এইসব দাবি কোনো এক বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘৃণা বা বিতৃষ্ণার মধ্যে দিয়েও প্রকাশ পেতে পারে। এই কারণেই আমরা ডান-লোকপ্রিয়বাদের বিস্তার দেখেছি, যা দাবি করে, ‘সমস্যাটি অভিবাসীদের কাছ থেকে এসেছে’। কিন্তু এইসব দাবি ভিন্নভাবে, আরও প্রগতিশীলভাবে প্রকাশ করা যেতে পারত, গণতন্ত্রের আরও সম্প্রসারণ, আরো মৌলিকতার আহ্বান জানিয়ে। একেই আমি বলি ‘বাম লোকপ্রিয়বাদ’।
২০১৫ সালে প্রকাশিত ‘অন দ্য পলিটিক্যাল’-এ, ‘উত্তর-রাজনৈতিক’ ঘটনা পরীক্ষা করে, আমি যুক্তি দিয়েছিলাম যে ‘তৃতীয় পথ’, পদ্ধতি হিসেবে গণতন্ত্রের অগ্রগতির প্রতিনিধিত্ব করে না এবং বিভিন্ন বিকল্পের মধ্যে একটি বিক্ষোভ-বিতর্কের অভাব গণতন্ত্রের জন্য ভয়াবহ বিপদ। এটা ডান-লোকপ্রিয়বাদ বিস্তারের জমি তৈরি করে।
রাজনীতি বলতে যদি মনে করি, এটা একটা সমঝোতা ও ঐক্যমতের বিষয়, তা হলে সেটা অবশ্যই রাজনীতি সম্পর্কে ভুল ধারণা। গণতান্ত্রিক রাজনীতি হতে হবে অবশ্যই দলীয়। তার জন্যে বাম ও ডানের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট ভেদরেখা টানতে হবে। সম্ভাব্য বিকল্প নিয়ে বিতর্ক অবশ্যই অস্বস্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক কিন্তু এছাড়া গণতন্ত্র হতে পারে না।
ক্যাল্ডারব্যাঙ্ক আপনি কীভাবে বাম লোকপ্রিয়বাদের বিভিন্ন ক্ষেত্র নির্বাচন করেন এবং কীসের ভিত্তিতে এই ভিন্ন ভিন্ন বহুসংখ্যক ক্ষেত্রকে একত্রিত করার কথা ভাবেন?
চ্যান্টাল মফ আজ সমাজের আরও অনেক ক্ষেত্র নব্য-উদারবাদী বিশ্বায়ন এবং নতুন পদ্ধতিতে পুঁজিবাদের নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে আগের চেয়ে বেশি প্রভাবিত। ফোর্ডের সময়কার অর্থনীতিতে আপনি প্রধানত প্রভাবিত হন যদি আপনি একটি কারখানায় কাজ করেন। কিন্তু লগ্নি পুঁজির ও ঐ যে জৈবরাজনীতি বলা হয়, তার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জীবনের অনেকগুলো দিক এখন পুঁজিবাদের নিয়ন্ত্রণে। এটি অবশ্যই নেতিবাচক দিক, কিন্তু একই সঙ্গে আমাদের কাছে একটা বড় সুযোগও এসে গেছে, এক
সুবৃহৎ সংখ্যক মানুষের জন্যে গণতন্ত্রের আমূল সংস্কার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এখন শুধু শ্রমিক শ্রেণিই নয় – মধ্যবিত্তেরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশের মনও আমরা জয় করে নিতে পারি।
আবহমান কাল থেকেই বাম রাজনীতি শ্রেণিভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। শ্রমিক শ্রেণি বা প্রলেতারিয়েত বনাম বুর্জোয়া। আজ, সমাজ- বিবর্তনের প্রেক্ষিতে, রাজনৈতিক সীমারেখা টানা বা নির্ধারিত হওয়া উচিত নয়।
গণতান্ত্রিক দাবির একটি সুস্পষ্ট ধারা রয়েছে যা শ্রেণির প্রেক্ষিতে সূত্রায়িত করা সম্ভব নয় - যেমন বলা যায়, নারীবাদের দাবিগুলো সামনে আনা উচিত, বর্ণবাদ বিরোধী, সমকামী আন্দোলন, বাস্তুতন্ত্রের দাবি - এসবই বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। এগুলি এমন সব দাবি যা শ্রমিক শ্রেণী এবং বুর্জোয়াদের মধ্যে প্রচলিত বিরোধিতার সাথে খাপ খায় না। সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় এমন এক লোকপ্রিয় পথে আমাদের যাত্রামুখ রচনা করতে হবে, যাতে ‘গণ’-এর পক্ষে ও ‘গোষ্ঠীশাসক’-দের বিপক্ষে কৌণিক অবস্থান থাকে। ‘নব্য উদারনীতি’ বিরোধী প্রকল্প থাকায় অনেকগুলি ক্ষেত্র জয় করা সম্ভব, তারপর ‘জনগণ’, সম্মিলিত ইচ্ছার প্রক্ষিতে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করে সেগুলি আলগাভাবে একত্রিত করা যেতে পারে। রাজনৈতিক সীমান্ত কেবলমাত্র দৃঢ় শ্রেণি ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। এর মানে এই নয় যে শ্রমিক শ্রেণীর দাবীগুলোকে পরিত্যাগ করতে হবে বরং অন্যান্য গণতান্ত্রিক দাবীর সঙ্গে সেগুলোকে তুলে ধরতে হবে। এটাই হচ্ছে ‘বাম লোকপ্রিয়বাদ’-এর প্রধান বৈশিষ্ট্য এবং শ্রেণি-অবস্থান ভিত্তিক নিজের সীমানা নির্দিষ্ট রাখার প্রধান পার্থক্য।
‘মানুষজন’, পরিচিতি সংজ্ঞায়িত করা, নির্মাণ করার জন্যে, আমাদের বুঝতে হবে কী ধরনের বিষয়সমূহ মানুষকে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে। কেন, উদাহরণ স্বরূপ, লোকেরা কিছু ধরনের অধীনতার প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায়? কেন তারা দাবি করেন, এটা ওটা অন্যায়? আমি মনে করি সাম্যের ধারণা, সামাজিক ন্যায়বিচারের ধারণা এবং জনপ্রিয় সার্বভৌমত্বের ধারণা গণতান্ত্রিক সামাজিক কল্পনার মৌলিক মূল্যবোধ। এই পদ্ধতিতে গণতান্ত্রিক নাগরিকদের রাজনৈতিকভাবে গঠিত এবং সামাজিকীকরণ করা হয়। তাই যখন তারা অনুভব করে যে এই জিনিসগুলি তাদের কাছ থেকে আটকে রাখা হয়েছে, তখন তারা বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধ প্রকাশ করে। আমি মনে করি যে বিষয়টি মানুষকে রাজনীতির ক্ষেত্রে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে তা হল সাম্য ও গণতন্ত্রের দাবি।
এই কারণেই বর্তমানের উত্তর-গণতান্ত্রিক সমাজে আমরা অনেক প্রতিরোধের সাক্ষী হচ্ছি। একটি Indignados স্লোগান ছিল ‘Tenemos un Voto, pero no tenemos voz’ — আমরা একটি ভোট পেয়েছি কিন্তু আমাদের কোনো ভয়েস নেই। অনেক মানুষ আজ অনুভব করছেন যে তারা একটি কণ্ঠস্বর থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এটাই হল ‘লোকপ্রিয়বাদ মুহূর্ত’-এর কেন্দ্রবিন্দু এবং সেইসব প্রতিরোধের মূলে থাকা দাবিগুলির একটি প্রগতিশীল উত্তর দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা সাধারণত ‘ডান লোকপ্রিয়বাদ’কে অন্তর্নিহিতভাবে বর্ণবাদী এবং যৌনতাবাদী দাবির অভিব্যক্তি হিসাবে দেখি। না। আমাদের বুঝতে হবে যে তারাও প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রেরই আহ্বান জানায় – তারাও তাদের ‘ভয়েস’, কণ্ঠস্বর চায়। ব্রিটেনে ব্রেক্সিট ভোটের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। যাঁরা ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা সবাই বিদেশী মানুষজনের প্রতি ঘৃণা, বিদ্বেষ বা তাঁদের উপস্থিতিতে আতঙ্কগ্রস্ত, এমন নয়, বরং তারা অনুভব করেছিলেন যে তাদের উদ্বেগ, প্রতিষ্ঠান কোনো বিবেচনাতেই আনছে না।
এগুলি সব গণতন্ত্রেরই দাবি। কিন্তু এই দাবিগুলো এমনভাবে প্রকাশ পেতে পারে যা গণতন্ত্রকেই সীমাবদ্ধ করে তোলে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে চায় কিন্তু শুধু একটা ছোট্ট গোষ্ঠীর জন্যে, ‘ন্যাশানাল’দের জন্যে। বা, এবং এটিই হচ্ছে চ্যালেঞ্জ, এগুলিকে এমনভাবে সূত্রায়িত করা যাতে গণতন্ত্রকে আরও গভীর ও আরও মূলগত করতে পারে। আমার কাছে যা ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়, তা হচ্ছে কোন ধরনের লোকপ্রিয়বাদ (পপুলিজম) আধিপত্য বিস্তার করতে সক্ষম হবে এবং সেইসব দাবির উত্তর দিতে পারবে। আমি নিশ্চিত, যে ডান-লোকপ্রিয়বাদের (রাইট পপুলিজমের) বিরুদ্ধে লড়াই করার একমাত্র উপায়, বাম-লোকপ্রিয়বাদ (লেফট পপুলিজমের) একটি রূপ গড়ে তোলা। অর্থাৎ, একটা লোকপ্রিয়বাদ (পপুলিজম) যা উত্তর-গণতান্ত্রিক বিভিন্ন প্রতিবাদ-প্রতিরোধের খেয়াল রাখতে পারে এবং সেগুলি প্রকাশের এমন একটা অভিব্যক্তি দেবে যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনর্নিশ্চিত ও সম্প্রসারণের দিকে পরিচালিত হবে।
ফ্রান্সে, বাম-ঘেঁষা কিছু মানুষজন বলেন, ‘মেরিন লা পেন’কে যারা ভোট দিয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলাই উচিত নয় কারণ এই সব লোকেরা মূলত ফ্যাসিবাদী এবং তাদের কোনোভাবেই সংস্কার করা যায় না। আমি এই অবস্থানের সাথে সম্পূর্ণ একমত নই। ফ্রান্সে এটা সুপরিচিত যে ‘মেরিন লা পেন’কে যারা ভোট দেন তাদের অনেকেই কমিউনিস্ট পার্টিকে ভোট দিতেন। সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা যখন তাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল, তখন একমাত্র ‘লা পেনই’ তাদের বলেছিলেন ‘আমি আপনার উদ্বেগ বুঝতে পারছি’, এবং একই সঙ্গে তাদের বলেন, ‘আপনি যদি এই পরিস্থিতিতে থাকতেন, তাহলে বুঝতেন, এ সবই অভিবাসীদের কারণে’। সৌভাগ্যবশত বিষয়গুলির পরিবর্তন হতে শুরু করেছে কারণ লা ফ্রান্স ইনসুমিসের সক্রিয় কর্মীরা (জাঁ-লুক মেলেনচনের পার্টি, প্রায়শই বাম-লোকপ্রিয়বাদী বলে বিবেচিত হয়), ‘মেরিন লা পেন’কে ভোট দিচ্ছে এমন নির্বাচনী এলাকায়, তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন।
গত নির্বাচনে, দেখতে বেশ আকর্ষণীয়ই লাগছিল অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়, যেমন মার্সেইলের মতো এলাকায়ও, যেখানকার মানুষজন আগে মেরিন লা পেনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, সেখানে নির্বাচনী প্রচারে প্রথম এসেছেন জাঁ-লুক মেলেনচন। একই ঘটনা ঘটেছে অ্যামিয়েন্সে, ফ্রাঙ্কোইস রাফিনের সঙ্গে, যিনি ন্যাশনাল ফ্রন্টের শক্ত ঘাঁটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সুতরাং ফ্রান্সের এই লোকেরা, যাঁরা বলছিলেন - ‘মেরিন লা পেনকে যারা ভোট দেয়, তারা কখনই জাঁ-লুক মেলেনচনকে ভোট দেবে না’- ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আমি শুনেছি, ব্রিটেনে, ইউ-কে-আই-পি কে আগে যারা ভোট দিত, তাদের ১৬ শতাংশ লোক গত নির্বাচনে কর্বিনকে ভোট দিয়েছেন।
এটি দেখায় যে শ্রমিক শ্রেণির দাবিদাওয়া প্রগতিশীল অথবা বিদেশাতঙ্ক প্রসূত, এমন নয়, সবটাই নির্ভর করছে কেমন করে সেসব উপস্থাপন করা হচ্ছে। এগুলি ডান-লোকপ্রিয়বাদীরা ঘৃণা বা বিদ্বেষপূর্ণভাবে প্রকাশ করে, এবং বাম-লোকপ্রিয়বাদীদের চ্যালেঞ্জ হল সেই একই দাবিগুলির জন্যে ভিন্ন ধরনের বক্তব্য নিয়ে আসা।
ক্যাল্ডারব্যাঙ্ক কেন বিশেষভাবে ‘বামেদের’ জন্যেই লোকপ্রিয়বাদের আবেদন করছেন কেননা এর ফলে বহুসংখ্যক মানুষ যদি বামেদের সঙ্গে নিজেদের অভিন্নতা প্রকাশ করতে না চান?
চ্যান্টাল মফ প্রথমে আমি স্পষ্ট করতে চাই যে আমি যখন ‘বাম-লোকপ্রিয়বাদ’-এর কথা বলি তখন আমি একটি বিশ্লেষণাত্মক বিভাগ উল্লেখ করি। আমি বলছি না যে আপনি বাইরে গিয়ে দাবি করুন, ‘আমরা বাম-লোকপ্রিয়বাদী’। আমি যখন বলি ‘বাম-লোকপ্রিয়বাদ’-এর বৈশিষ্ট্য ‘লা ফ্রান্স ইনসুমিসে’ বা ‘কর্বিন’ বা ‘পোডেমোস’, সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে, তার মানে আমি বলতে চাইছি, এদের রাজনৈতিক কৌশলকে বাম-লোকপ্রিয়বাদী কৌশল হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে। এভাবেই তারা, তাদের নিজস্ব সীমান্ত রচনা করে। ‘গোষ্ঠী শাসককুল’-এর বিরুদ্ধে, ‘লোক’ বা ‘জন’ বা ‘জনতা’র সংজ্ঞা নির্মাণ করে ‘লোকপ্রিয়’ বা ‘জনপ্রিয়’ আন্দোলন গড়ে তুলতে তারা সচেষ্ট হয় কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে তাদের নিজেদেরকে ‘বাম-লোকপ্রিয়বাদী’ বলতে হবে।
উদাহরণ স্বরূপ, লা ফ্রান্স ইনসুমিস মানে ‘মাথা-না-ঝোঁকা ফ্রান্স’, আমি মনে করি এটা একটা দারুন নাম যা অনেক সংগ্রামকে আলগাভাবে যুক্ত করতে পারে।
এটা সত্যি যে অনেক লোকের কাছে ‘বাম’ শব্দটির এখন একটা নেতিবাচক অর্থ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, স্পেনে তারা বলে যে ‘বাম’ ধারণাটি খুব অসম্মানজনক, কারণ আপনি যখন বামদের কথা বলেন, লোকেরা সামাজিক গণতন্ত্রের বিশ্বাসঘাতকদের কথা ভাবে। ফ্রান্সেও একই রকম। আপনি যখন বামদের কথা বলেন তখন অনেকেই এটিকে প্রত্যাখ্যান করেন কারণ তারা এটিকে ফ্রাঙ্কোইস ওলান্দের সঙ্গে অভিন্ন বোধ করে। এই শব্দটি পরিত্যাগ করার আরেকটি কারণ হল যে এটি লোকপ্রিয় কৌশলের তির্যক গতির জন্যে সুবিধেজনক নয়। ‘পোডেমোস’-এর লোকেরা যেমন বলে, ‘আমরা এমন লোকদের সাথেও কথা বলতে চাই যারা নিজেদেরকে বাম মনে করে না।’ আমি এই উদ্বেগগুলি বুঝতে পারি এবং এই কারণেই আমি উল্লেখ করি যে আপন সীমান্তরেখা, বহু আগে রূপ দেওয়া বাম ডান বিভাজনে কল্পনা করা উচিত নয়।
কিন্তু বাম-এর আরেকটি অর্থ আছে, মূল্যমান সাপেক্ষে অবস্থান। বাম একটি নির্দিষ্ট মূল্যবোধকে বোঝায়, সামাজিক ন্যায়বিচার, জনপ্রিয় সার্বভৌমত্ব, সমতা। আমি মনে করি এই মূল্যবোধগুলিকে রক্ষা করা দরকার এবং সেই অর্থেই আমি ‘বাম’ লোকপ্রিয়বাদের কথা বলি। আমি মনে করি যে ‘প্রগতিশীল লোকপ্রিয়বাদ’ বলাটা যথেষ্ট নয়। ফ্রান্সে, ‘প্রগতিশীল’ সম্পূর্ণরূপে ম্যাক্রোঁর হাতে ধরা পড়েছে। ‘গণতান্ত্রিক লোকপ্রিয়বাদ’ও পর্যাপ্ত নয়। আমাদের এমন একটি শব্দ দরকার যা আরও দ্বন্দ্বমূলক, আরও পক্ষপাতমূলক। আমি মনে করি যে ‘বাম লোকপ্রিয়বাদ’-এর কথা বলা আমাদেরকে বাম এবং ডানের মধ্যেকার অস্বস্তিকর সংগ্রামকে আবার ফিরিয়ে আনে, কিন্তু জনপ্রিয় উপায়ে।
ক্যাল্ডারব্যাঙ্ক আমরা কি মনে করি, কর্বিনের সামাজিক গণতান্ত্রিক দল, উত্তর-গণতান্ত্রিক পর্যায়ে ইউরোপে সামাজিক গণতন্ত্রের যে সাধারণ পতন তাকে এড়াতে পেরেছে?
চ্যান্টাল মফ ‘কর্বিন’স লেবার’ হ’ল একটি সামাজিক গণতান্ত্রিক দল যা একটি বাম-লোকপ্রিয়বাদী কৌশল অবলম্বন করে নিজেকে পরিবর্তন করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এটিই ব্যাখ্যা করে যে দলটি সামাজিক গণতন্ত্রের সাধারণ পতন এড়াতে সক্ষম হয়েছে। এমন নয় যে সামাজিক গণতন্ত্র হঠাৎ পুনরুদ্ধার করছে। কর্বিনের দল ব্লেয়ারের দল নয়। নিউ লেবারের উত্তর-রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার সুস্পষ্ট প্রয়াস রয়েছে।
ব্রিটেনের ক্ষেত্রে যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হ’ল লক্ষ করা, কর্বিনের নিশানা এবং চলনবেগ লেবার পার্টিকে কীভাবে একটি জনপ্রিয় আন্দোলনে রূপান্তরিত করে। একটি বাম-লোকপ্রিয়বাদী কৌশলের জন্যে একটি সীমান্ত প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন এবং পার্টির সাম্প্রতিক ইশতেহার ‘অনেকের জন্য, মাত্র কয়েকজন নয়’ এটিই করছে। আমি মনে করি এটি বেশ আকর্ষণীয়। সমাজতন্ত্রের কথা এড়িয়ে যেতে ব্লেয়ারও এই ধরনের শ্লোগান ব্যবহার করেছিলেন। এটি এরা ফিরিয়ে এনেছেন এবং রূপান্তরিত করছেন, ‘বহুসংখ্যক‘ বিরোধী ও ‘অল্প কয়েকজন’ শাসক গোষ্ঠীর মধ্যকার তিক্ত ও বিরক্তিকর সুস্পষ্ট সীমান্তরেখায়।
ক্যাল্ডারব্যাঙ্ক বাম-লোকপ্রিয়বাদ কীভাবে বাম দিকে বিদ্যমান রাজনৈতিক বিভাগের সাথে সম্পর্কিত?
চ্যান্টাল মফ সাধারণভাবে, আমরা তিন ধরনের ‘বাম’-এর মধ্যে পার্থক্য করতে পারি। একটি হল সামাজিক-উদারপন্থীদের ‘বিশুদ্ধ সংস্কারবাদ’, যাদের ধারণা নব্য-উদারনৈতিক বিশ্বায়নের কোনো বিকল্প নেই। তারা এও মনে করেন যে বর্তমান আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ না করে বিদ্যমান ব্যবস্থায় ছোট ছোট সংস্কারই একমাত্র তারা করতে পারেন। বিপ্রতীপে রয়েছে, বিপ্লবী বামদের উক্তি, ‘উদার গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে সম্পূর্ণ ছেদ স্থাপন করতে হবে।’ তারা বিশ্বাস করে যে রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করা যায় না, এটির বিলুপ্তি প্রয়োজন। এদের একটি সংস্করণ হচ্ছে ঐতিহ্যগত প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যাওয়া, প্রতিষ্ঠানকে শূন্য করে দেওয়া।
‘আমূল সংস্কারবাদের’ রাজনীতির পক্ষে সওয়াল করেন এমন ‘বাম’ও আছেন। তাঁরা বাস্তবায়িত করতে চান, এমন সব সংস্কার যা ক্ষমতার বিদ্যমান সম্পর্ককে গভীরভাবে রূপান্তরিত করতে সত্যিই প্রভাব ফেলবে। এই বাম দল বহুত্ববাদী গণতন্ত্রের মূল প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রত্যাখ্যান করে না তবে উদার গণতন্ত্রের কাঠামো পরিত্যাগ না করে একটি ভিন্ন আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য রাখে।
বাম লোকপ্রিয়বাদ অবশ্যই আমূল সংস্কারবাদের একটি কৌশল। বাম লোকপ্রিয়বাদী কৌশলের উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসা। এটি বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে জড়িত থাকার গুরুত্ব এবং রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করার সম্ভাবনায় বিশ্বাস করে। আমি মনে করি এটিই সবচেয়ে পর্যাপ্ত কৌশল, কারণ এটি হল নব্য-উদারবাদী আধিপত্য ভেঙে ফেলার এবং গণতন্ত্রের আমূল সংস্কারের লক্ষ্যে একটি ভিন্ন আধিপত্য গঠন করার উপায়।
ক্যাল্ডারব্যাঙ্ক আপনি কি মনে করেন না, যে কর্বিনের প্রোগ্রাম, তার অলঙ্কৃত বক্তৃতার মতোই ফান্ডামেন্টাল? কখনও কখনও দোলাচল একটা দেখা যায় অবশ্য, একটি রূপান্তরমূলক অফার হিসাবে বর্ণনা করার মধ্যে কিন্তু অন্য সময়ে লোকেরা বলে, ‘ঠিকই আছে, দাবিগুলি তুলনামূলকভাবে শালীন, বেশিরভাগ ইউরোপীয় সামাজিক গণতন্ত্রের মতো।’
চ্যান্টাল মফ এটা সত্যিই, বাম লোকপ্রিয়বাদ এবং সামাজিক গণতন্ত্রের মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় মিল রয়েছে (যদিও অবশ্যই তৃতীয় ধারা নয়।) যাইহোক, এটা স্পষ্ট যে কেবলমাত্র সামাজিক গণতন্ত্রের সবচেয়ে উন্নত রূপের দিকে প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যের জন্যে বাম লোকপ্রিয়বাদী কৌশল নেওয়া হচ্ছে না। কেননা, সামাজিক গণতন্ত্রের সেই সমস্ত রূপগুলি মূলত কেনেসিয়ান। আজকের সমস্যা হল, আমরা যদি বাস্তুতন্ত্রের প্রশ্নটিকে গুরুত্ব সহকারে নিই, তাহলে দেখা যাবে সমস্যাগুলিই কেনেসিয়ান সমাজ গঠনের মডেলের অংশ। ওই মডেল, উৎপাদনবাদী। আমি মনে করি আজকের চ্যালেঞ্জ, আমরা যদি বাস্তুতন্ত্রকে গুরুত্ব সহকারে নিতে চাই, তা হলে প্রথন কাজই অবিকল এই উৎপাদনশীলতাকে ভেঙে ফেলা।
তদুপরি, সামাজিক গণতন্ত্রের সার্বিক অবস্থান, অর্থনৈতিক চাহিদার উপর অনেক বেশি কেন্দ্রীভূত। তারা নিজেদেরকে শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থের প্রতিনিধি হিসাবে দেখছিল। আজ, বাম-লোকপ্রিয়বাদ অনেক বিস্তৃত সেক্টরের প্রতিনিধি হতে চায়। এই মুহূর্তে, যখন শ্রমিক শ্রেণির দাবিসমূহ সামাজিক-উদারপন্থী দলগুলি দ্বারা অবদমিত হচ্ছে, সেখানে অবশ্যই তাদের গুরুত্ব স্বীকার করা খুবই প্রয়োজনীয়। তবে কেমনভাবে প্রকাশ করা হবে, তা স্থির করা হবে অন্যান্য সামাজিক গোষ্ঠী - যারা নব্য-উদারনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত – তাদের দাবির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে।
সেই দৃষ্টিকোণ থেকে, আমি ডেভিড হার্ভে দ্বারা বিকশিত ডিসপোজেশন দ্বারা সঞ্চয়ের ধারণাটি খুব আকর্ষণীয় বলে মনে করি। তিনি দেখান যে নব্য-উদারীবাদ বিরোধিতার নতুন নতুন রূপ তৈরি করেছে, যা আগে ছিল না এবং ফলত শ্রমিক শ্রেণির বাইরের অনেক মানুষ প্রভাবিত হয়েছেন। গণতন্ত্রের আমূল সংস্কার সম্পর্কীয় বাম-লোকপ্রিয়বাদী কৌশল অবশ্যই সেইসব নতুন ধরনের বৈরিতার লক্ষ্য রাখবে। নারীবাদী, বর্ণবাদ বিরোধী এবং এলজিবিটি সংগ্রাম থেকে উদ্ভূত গণতান্ত্রিক দাবিগুলিকেও বিবেচনায় নিতে হবে।
ক্যাল্ডারব্যাঙ্ক লোকপ্রিয়বাদী রাজনীতিতে এমন কি কিছু
আছে যার জন্য একজন শক্তিশালী, বর্ণময় নেতার উপস্থিতি প্রয়োজন? এটি বেশ কয়েকটি জায়গায় একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান বলে মনে হচ্ছে।
চ্যান্টাল মফ এটা বোঝা দরকার যে একটি লোকপ্রিয়বাদী রাজনৈতিক কৌশলের উদ্দেশ্য হ’ল একটি ‘জনগণ’’, একটি ‘সম্মিলিত ইচ্ছা’র নির্মাণ, অনেক ভিন্নধর্মী গণতান্ত্রিক দাবির প্রকাশের মাধ্যম খুঁজে নেওয়া। যা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তা হল কী সৃষ্টি করতে চাইছি? আমি ও আর্নেস্টো ল্যাকলাউ, ‘আধিপত্য এবং সমাজতান্ত্রিক কৌশল’ ( Hegemony and Socialist Strategy by Chantal Mouffe & Ernesto Laclau) নিয়ে যে বইটি লিখেছি, সেখানে আমরা একটি ‘সমতা শৃঙ্খল’ গড়ে তোলার কথা বলেছি।
আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে সমতুলতার শৃঙ্খলের মাধ্যমে সম্মিলিত ইচ্ছার একটি নির্মাণ, প্রকৃতিগতভাবেই ‘রামধনু জোট’, যা কেবল একে অপরের পাশে থেকে একের পর এক সংগ্রামের ধারা স্থাপন করে – তার থেকে ভিন্ন, তার চেয়ে অনেক বেশি।
যখন আমরা স্বীকার করি যে গণতান্ত্রিক সংগ্রামগুলি আপনাআপনিই একত্রিত হয় না, তখন আমরা গণতান্ত্রিক দাবিগুলির ভিন্নতাকে একত্রিত করার জন্য, বিশেষ ধরনের কিছু স্পষ্ট নীতির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। লোকপ্রিয়বাদী আন্দোলন এটাই প্রকাশ করার চেষ্টা করে। এই ধরনের একটি স্পষ্ট নীতি ‘শৃঙ্খলের একীকরণ’কে সুরক্ষিত করে, বিভিন্ন দাবির ঐক্যের প্রতীক হয়ে, ‘আধিপত্যের সংকেত’ হিসেবে কাজ করে।
এই যে ‘আপনাআপনি’ হয়ে ওঠে না, তার মানে এটা নয় যে একজন ব্যক্তি থাকতেই হবে। উদাহরণস্বরূপ, এটি একটি নির্দিষ্ট দাবি হতে পারে যা সাধারণ সংগ্রামের প্রতীক হয়ে ওঠে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীদের অবিশ্বাস্যভাবে সংগঠিত হওয়ার পর স্পেনে নারীবাদী সংগ্রাম সেই ক্ষেত্রে যে ভূমিকা পালন করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু নারীবাদী যুক্তি দেন যে নারীদের দাবি জনগণের সম্মিলিত ইচ্ছার স্পষ্ট নীতিতে পরিণত হতে পারে।
তবে প্রায়শই নেতার পরিচিতিই হয়ে ওঠে সব দাবির প্রতীক। প্রকৃতপক্ষে, একটি সমষ্টিগত ইচ্ছা সাধারণ প্রভাবগুলির কেলাসীকরণ ছাড়া তৈরি করা যায় না এবং একজন নেতার আবেগপূর্ণ বিচরণ এই প্রক্রিয়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। অনেক লোক দাবি করে যে এটি বিপজ্জনক কারণ ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব কর্তৃত্ববাদকে উৎসাহিত করে। আমি কোন মৌলিক সমস্যা দেখি না যদিও এই শর্তে যে নেতা নেতৃত্বাধীন জনগণের সাথে কর্তৃত্ববাদী সম্পর্ক স্থাপন করবেন না। নেতাকে ‘প্রাইমাস ইন্টার প্যারস’ – সমানের মধ্যে প্রথম হিসাবে দেখা যেতে পারে - এবং আমি মনে করি এটি কর্বিনের ক্ষেত্রে খুব বেশি। তিনি অবশ্যই একজন কর্তৃত্ববাদী ব্যক্তিত্ব নন - এবং আমি মনে করি না যে তিনি বিশেষত ‘ক্যারিশম্যাটিক’ও। তবে স্পষ্টতই লেবার পার্টির রূপান্তরের প্রতীক হয়ে উঠেছেন তিনি।
(একটি বাম পপুলিজমের জন্য, চ্যান্টাল মউফের লেখা,
ভার্সো দ্বারা প্রকাশিত)
সূত্র: www.redpepper.org.uk
চ্যান্টাল মফ ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘পলিটিক্যাল থিয়োরি’র অধ্যাপিকা। তাঁর প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে আছে, ‘গ্রামচি অ্যান্ড মার্ক্সিস্ট থিয়োরি’, আর্নেস্টো ম্যাকলাউ এর সঙ্গে ‘হেজিমনি অ্যান্ড সোশালিস্ট স্ট্র্যাটেজি’, ‘ডায়মেনশন অফ রাডিক্যাল ডেমোক্র্যাসি’, ‘দ্য রিটার্ন অফ দ্য পলিটিক্যাল’, ‘দ্য ডেমোক্রেটিক প্যারাডক্স’, ‘অন দ্য পলিটিক্যাল’, ‘অ্যাগোনিস্টিক’ ইনিগো ইরেজন এর সঙ্গে, ‘পোডেমস: ইন দ্য নেম অফ দ্য পিপল’ (পোডেমস, স্প্যানিশ পলিটিক্যাল পার্টি)।