সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
মাছরাঙা যেভাবে জলে ঝাঁপ দেয়
সেভাবেই ঝুপ করে সন্ধ্যা নামে এই নগরীতে
এখনও হেমন্ত রয়ে গেছে,যদিও শহরে
তার কোনো চিহ্ন নেই
তবুও সন্ধ্যা নামে, দ্রুত, অন্ধকারে
সন্ধ্যা নামে আকাশের গাএ,
গোধূলির সবটুকু আলো শুষে নিয়ে
মেঘেরাও ঘরে ফেরে
ধূসর বাড়িগুলো, ধূসরতর ঘর
আলোর অপেক্ষা নিয়ে পোকামাকড়ের সাথে কথা বলে
সন্ধ্যা নামে একা একা,রমণেচ্ছু বেড়ালের মতো
চুপিসারে, তার নখে ও থাবায় লেগে
স্মৃতিচিহ্ন, বিগত প্রেমের
সন্ধ্যা নামে হাওয়ার শরীরে
কুয়াশার মতো কিছু অস্পষ্টতা
এখনও রয়ে গেছে
ফ্রেমহীন বিবর্ণ ছবির মতো কিছু মায়া
এখনও অবশিষ্ট আছে
তাই, অতর্কিতে সন্ধ্যা নামে, এই নগরীতে
অন্ধ দু'চোখে তার ঘ্রাণ
নষ্ট প্রেমের মতো, থেকে যায়
হেমন্ত শরীরে ...
যে কোনো নারীর সাথে সঙ্গমের মতো
যে কোনো বিষয়ে ইদানীং কবিতার মতো কিছু লেখা হয়
চুম্বনের ক্ষত নেই, শীৎকার শুনে
ভণ্ড ও বিদূষক গ্যালারিতে হাত ধরে হাততালি দেয়
শরীরে রহস্য নেই, সুর নেই,গান নেই
অন্ত্যমিলে মজে থাকে কৌশলী পাঠ
পাঠের হৃদয় নেই, বৃক্ষ নেই,
নেই কোনো অরণ্যর সন্ধান
এভাবে কি প্রেম হয়? নক্ষত্র পুড়ে যায়
অবসাদে, কর্কশ বিষাদে পড়ে থাকে অক্ষরপ্রতিমা
শীত ও গ্রীষ্মের মাঝে দূরত্ব যতটা,
তারও চেয়ে দূরে থাকে
সম্পর্ক
অবসন্ন বিকেলে আজকাল
আর কোনো বালকেরা
ফেরে না
ক্ষতটিতে বসে আছে মাছি
কেউই নেই তাড়িয়ে দেওয়ার
তাকে
বিবর্ণ ছবিগুলি, তার গাএ
মাকড়সার জাল, সেখানে জড়িয়ে আছে
কীট
অপস্রিয়মাণ আলো, তার সাথে কথা
ফুরিয়ে ফেলেছে এই মাটি,জল,মেঘ ও বাতাস
ইদানীং
একবার চেয়ে দেখো গাছের পাতাটিকে
তার
বর্ণ ত্বক শিরাগুলি, শরীরের কথা,
তাকে স্পর্শ করো
পাতাটিকে মন দিয়ে দেখো
তাকে ছুঁয়ে থাকা ফড়িঙের মতো
অমলিন শিশিরের গাএ
লেগে থাকা সূর্যের মতো
তোমারও অস্তিত্ব আছে
ঐ পাতার শরীরে,
তাকে চেনো
ঝরে যাওয়া বিকেলের মতো
আরণ্যক ঘ্রাণে
জেগে থাকা পাতাটিকে
চেনো,
এই জল ও বাতাসে
তুমি গাছ হও
লতাগুল্মবনস্পতিবৃক্ষের মতো
উদ্ভিন্ন হয়ে ওঠো ...
কিছু কথা হৃদয়জনিত
ভেলা ভাসে অন্তরীক্ষে
আদি লতাগুল্মবৃক্ষে
নিহত প্রেমেরই এপিটাফ
নক্ষত্র হারিয়ে যাবে
হৃদয়ের বিজন স্বভাবে
রমণেচ্ছু কিশোরের ক্বাথ
গোপন স্বপ্নের চিঠি
রক্তে রাঙানো মুঠি
সর্বাঙ্গে ধুলোমাটি লেগে
বিষণ্ণ চোখের আলো
কে তাকে বাসেনি ভালো
অন্ধকারে তবু থাকে জেগে
তুমি যে মায়ার কথা বলো,
সে মায়া কি কমলকুমারীয়?
অসতর্ক বাউলের একতারা ভেঙে গেলে
যেরকম মায়া হয়,
তেমন আর পাবে না এখানে
শহুরে আমোদ এসে ঘিরে ফেলে গ্রাম
ভালোবাসা পাবে বলে যে শরীর অপেক্ষায় ছিল
মায়ার কাজল পরে চোখে ,
সে নাকি নিভিয়ে দিয়ে আখড়ার আলো
রিএলিটি শো-য় গেছে
রিক্ত অজয় পড়ে আছে, তার গভীরে কোথাও
মায়াচিহ্ন খুঁজে পেলে বড়ো সুখ লাগে
খাদানের লোভ, তার আঠালো তরল
চেটে খাবে বলে যারা হয়েছিল জড়ো--
সেখানে কি মায়া থাকে? এত ভুল কীভাবে করেছ?
মায়াবী খোয়াই , তার সোনাঝুরি পাতার চাদরে
কিছু মায়া যদি পেয়েছে আশ্রয়,
তবে তো আবার
বেঁচে থাকবার কথা বলা যেতো গোপনে তোমায়