সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
দয়া ও দাক্ষিণ্য হেতু নতমুখ
বহমান শিল্প সুষমা
অধিকন্তু ম্লান ভস্মাধারে
যেন-বা প্রদীপ দান ততোধিক মলিন হয়েছে
অদৃশ্য ভয়াল চিত্র চরাচর
জুড়ে
সুকৌশলে প্রকীর্ণ এখন
সম্পদের লুটতরাজ, দিনে ও দুপুরে চলেছে
সম্পর্কেও অবাধ ডাকাতি
অকারণ জাতিদাঙ্গা, যুদ্ধ-খেলা, বাণিজ্য-দানব
প্রতিহত করে ঠিক কালজয়ী
প্রকৃতি দাঁড়াবে।
তুমি কি বিবেক জাগিয়ে তোলার প্রতিভূ?
অহর্নিশ উদ্দাম করে তোল আমাকে
একটা সময় দুর্বল করে দিচ্ছ, রোজি
একোমেবাদ্বিতীয়মে পুরুষকার জাগিয়ে তুলছ
আমার মধ্যে
পারঙ্গমতার শঙ্কা উৎখাত করছ আমার থেকে
অল্প রাধা-ভাব দেখিয়ে
ঝিকিয়ে তুলছ বিবেকের আলো
অনির্বচনীয় দশনক্ষত ছাপিয়ে
উভোত্তল তোমার নাভির পরিখা যখন
আশার তর্জনী ছোঁয় অথবা কবোষ্ণ
নিশ্বাস তোমার বইতে থাকে আমার কপালে
অবিমিশ্র সেই ঘোর উপহাস করে বিবেক ও
সাবেক কামসূত্র।
কীর্তনের সুর একাদিক্রমে বাজলে সময়সাপেক্ষে
একটা ভালো-লাগা, সহনশীল সৌন্দর্য নিয়ে আসে
দুনিয়া যাচ্ছে ঐহিক, তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে
ঈশ্বর ও শয়তান যৌথ উদ্যোগে যা তৈয়ার করেন
কোথায় পেটো ফেলতে হবে, সুবিধামত গণহত্যা
বা প্রয়োজনীয় ত্রাণ-সামগ্রী ফেলতে হবে
নারী-পুরুষদের শারীরিক নির্যাতন বা ধর্ষণ
করতে হবে
সবকিছুই দায়িত্বেই সেই ব্যবসা
পরিচালিত হয়
তার সূচক লিখিত থাকে কীর্তনের ভাষায়
রিনিঝিনি, রুনুঝুনু যন্ত্রানুষঙ্গ
মাঝে মধ্যে সুরের ওঠানামায়
যে বা যারা এই কীর্তন তথা নাম-গান শুনতে ব্যর্থ
তারা জীবিত না মৃত, জ্ঞান হারিয়েছে
না, যৌন ক্ষমতালুপ্ত
এটাই দস্তুর
অস্ত্রপরীক্ষা, যুদ্ধ পরিকল্পনা, ফুলে-ওঠা বা
ফেঁপে-ওঠা তো, পরের ব্যাপার
বৃহৎ-বঙ্গে কীর্তন-খোলা নদীটি কি এখনো আছে?
বর্ণময়। গন্ধময় অথবা তা
শব্দময়, উচ্চকিত প্লাস্টিক
প্রহরা। সাধ্যমত ফিরিয়ে দিয়েছি
অঙ্গার তোমাকেও, গন্ধক ও যবক্ষারজান
সেই রসায়নে যেভাবে, সেভাবে
ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে প্রাকৃতিক উপভোগ্য
বিরেচন-ক্রিয়া আর কেবলি বেসাতি
রূপ-রস-রক্ত কিংবা যৌনাচার
সমানুপাতক, অশ্বেতর বিনির্মাণ
সমস্ত উৎসন্নে গেছে। উড়িয়ে পুড়িয়ে
কিছু গবেষণাগারে, অস্থি-শীতল-করা
বিকিরণে । অনাগত ভবিষ্যের বিকট উল্লাসময়
উপলব্ধি ছিল। অদ্যভক্ষ্য ধনুর্গুণ—
এখন ফেরৎ পাচ্ছ। এ সাধের জগৎ-সংসার
যেমন, সে ভেসে যাচ্ছে, যাবে।
তুমিও প্রসন্ন হয়ে যাবে, অনপোদনীয়
তবে যাও। সময়ের চক্রফেরে সে যদি
শান্ত হয়, হবে। তুমিও শান্তি পাবে
সৎকারবিধির পর, শান্তিজলও
শরীরে ছড়াবে এবং অনন্ত জাগবে পুনর্বার।
ঘুমঘোরে তখনো পড়োশি
একটা প্ররোচনা-মূলক
আনুমানিক অঙ্ক কষছেন
কতিপয় চিকিৎসক
জ্যোতিষচর্চা বিশ্ববিদ্যালয়েও
ঢেউ আসছে, ঢেউ ভাঙছে
আর আসন্ন প্রসূতিদের জল-ভাঙার শব্দ
শোনা যে, যাচ্ছে না
আতঙ্কে কুঁকড়ে গর্তে সেঁধিয়েছে
বিপ্লবী, পিঁপড়েরা
এ দেশের কী হতো!
কৃষিকাজ না-থাকলে--
মৃত্যুভয় জাগিয়ে-রাখা কেবল আর ব্যাঙ্ক-লুঠ
কখনো ডোল-দেওয়ার রাজনীতি
দেশ-বিদেশে আমাদের ছেলেমেয়েরাও কত
অন্যরকমের ব্যবসায় নেমেছে
উদগাণ্ডু শাসকেরা ওষুধপত্রের ব্যবসায়, অথবা
ঢপের উন্নয়ন চলছে
চাষীদের পেটেও যখন লাথি মারছে সরকার
গণতান্ত্রিক কৌপীন ও চাড্ডিতে
শিল্প যে রকম ভাবে ভোগে যাচ্ছে
আমরা, আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠার আগেই
আপাতত সমরাস্ত্রের উন্মাদনা কিছুটা স্থগিত।
ছোট-বড়ো ভূখন্ডগুলির শিল্প ও বাণিজ্য
স্থিতিকরণের খেলা
প্রাণের উৎসবে জারি-রাখা ধ্বংস ও মৃত্যুভয়
বিষাদ-মলিন একটু সৃজন -ইশারা
দুর্বলেরা মুছে যাবে
ধরণী বহুধা হতে পারে
অসামান্য অগ্নুৎপাত, জলোচ্ছ্বাস ও বিপর্যয়
সাহিত্যও কালজয়ী নয়
সীমায়িত অথবা স্থানিক, যুদ্ধ হবে
তার মাঝে অন্যেতর ইচ্ছার সমাধি
গ্রহ বিজয়ের কালে, উপগ্রহ নিয়ন্ত্রিত তথ্যের
সড়কে,এইসব বাক্য লিখে রাখা।