সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
সবকিছু লেখা আছে চোখে
লজ্জা ঘেন্না ভয়, অনন্ত প্রস্তাবে আকুলতা
যত কিছু বিবরণ মনসিজ ভ্রমণের সাথে,
ক্রৌঞ্চ মিথুনের শোকে প্রথম শ্লোকের ব্যাপকতা
সবকিছু লেখা থাকে
তুমি যা বলেছো কথা
যে সুরে দেখেছো ছবি, এঁকেছিলে গান
সেই রেখা প্রাণ হয়ে আকাশে ছড়ালো
আকাশের কোণে জমা বাষ্প অনুপম
খবর রাখেনি ব্যথা কার বুকে বাজে
কার শিরা-ছেঁড়া রঙে আগুনের সাজে—
তুমি তা জানোনি
যে আছে দাঁড়িয়ে পথে
সমতলে পাহাড়ে বা নদীর কিনারে
রোদ হাসে আঁধারের অপেক্ষায় আজও
যাবার সময় হলো ফেলে রেখে জীবনের ওম
যেই তাপ মিশে আছে প্রতি ফুলে রঙে
নষ্ট সময় কিছু আঁধারের পরিতাপ মাপে
তোমার চোখের কোনে কাজলের টানে—
জেনেছো কি
কত কিছু শেখা হলো কত অঙ্ক সুষ্ঠু মিলে যায়
সে পেলব খাতা আছে কোন ঘন অন্ধকার তাকে
হাতের কলম কালি মাথা খোঁড়ে অন্ধ জিজ্ঞাসায়
শুধুই হারালে সব কুলুঙ্গির গোপন ভাঙনে
অপাপবিদ্ধ পল, ফুল আঁকা রুমালের গিঁট
মুহূর্তের মহারাজা হারুন অল রশিদের ধাঁচে
মহান বৃক্ষ তলে সেই সব ছবি জমা আছে—
জানিলে না
এখন শীতের কুয়াশায় জলঙ্গীর মরা টান জাগে
কত শত মহাপথ চোরাটানে দিকহারা
রাখালের চোখে ঘর খোঁজে
ধুলো না মাখালে আলো গোধূলি হবে না
যতই রঙের তুলি বিকেল সাজাক
নত দিন সে কথাটি জানে, আর জানে
শেষ হলে আলো একমুঠো কুয়াশার খাঁজে
তার চিহ্ন কেউ খুঁজবে না
শুধু অভ্রময় সময়ের চোখ নিষ্পলক জাগে
আর মাটি জুড়ে পিঁপড়ের সারি হাতে হাত
ধ্বংসের বিরুদ্ধে দূর্গ গড়ে।
কূলে আছড়ালো ঢেউ—
ময়দান ছুঁয়ে ফুটপাত ছেড়ে
রাজধানী ঘিরে সিঙ্ঘু বর্ডারে
আকাশে দুহাত দাঁড়িয়েছে বুঝি
সমুদ্র বুকে কেউ—
চোখ ঠেরে আছি ফলসা বিকালে
চুপ-জোৎস্নার মাধুকরী আঁকা
পকেটে হিসাব কখনো মেলেনি
সীমান্ত সীমাতেও—
কে আছে অদূরে সুদূরে ডেকেছে
কোন্ হাতছানি কতটা আদরে
আ-ভূবন ভয় নীল রং কিনা
বিতর্ক সভাতেও—
পলক পড়ে না সময়ের চোখে
হাঁটছে আগুন তার পাশে পাশে
মুখে যাই বলো ভিতরে জেনেছি
শৃঙ্খল পোড়াতেও—
কূলে আছড়ালো ঢেউ
ময়দান ছুঁয়ে ফুটপাত ছেড়ে
রাজধানী ঘিরে সিঙ্ঘু বর্ডারে
আকাশে দুহাত দাঁড়িয়েছে বুঝি
সমুদ্র বুকে কেউ—
আমার সামনে এসে কথা বলে সহজ সুন্দর
নিঝুম গাছের নীচে কমলা বালিকা সহজ সুন্দর
একটি সবুজ পাতা ঘুরে ঘুরে ভেসে যায় মেঘের ডানায়
নক্রেক চূড়া ঘিরে ঝিঁঝিঁ তোলে ঘন্টাধ্বনি স্নেহ মন্দিরায়
বাঁকানো রাস্তায় আঁকা আঁধার কণিকা মুখ ঢাকে তন্দ্রার আঁচলে
কৃশকানু বাঁশ পাতা তির তির মেঘ মাখে সকালে বিকালে
পাহাড়ে সবুজ ঢেউয়ে ভেজা যুবতীর টানে অন্ত্যমিল স্থাণু
জুমক্ষেতে ধোঁয়া ওঠে, কমলা সোনালী হয় গারো মেয়েটির খুশী ছুঁলে
সর্পিল সহজ পথ বেয়ে নেমে আসে মেঘ ও যুবতী
দুজনেরই কাঁধে বোঝা পিঠে বোঝা ফসলের ভার
মুক্তো-জলে সেজে থাকা মাকড়সার জাল, ছিঁড়ে গেল ফসলের টানে
বাতাস আবিষ্ট ক’রে হাঁড়িতে ‘মিনেল’ ফোটে, স্বপ্ন পারাবার
মেঘের আড়ালে থাকে মেঘের উপরে ভাসে নক্রেক চূড়া
অজস্র কন্দরে তার তালি দিয়ে ছুটে যায় সিমসাঙ নদী
অনিবৃত্ত ছন্দ তার, গারো প্রাণ সেই সুরে বাঁধা
বৃথা সূর্যাস্তের দাবী— এইখানে ঠাঁই হোত যদি।
যে কোনো আকুল মুহূর্তে তুমি
আকাশে চাইতে পারো
আকাশ তোমাকে দেখছে না-
তোমার মুগ্ধ দৃষ্টি দোদুল ফুলের দিকে
ফুলের বয়েই গেছে তোমাকে দেখতে
তাই প্রশ্ন অবুঝ রাখো পাথরের কাছে
কেননা নিশ্চিত তার উত্তর পাবে না
তবু প্রশ্ন খোদাই করো পাথরের বুকে
তোমার নিখাদ সত্যিগুলো।
আবার কবে যাব, রাস্তা খোলা পাব
দিগদিগন্ত যে দিকে চোখ যায়
পায়ের তলায় মাটি, গাছের ছায়ায় হাঁটি
বন্ধ ঘরে স্লোগান হেরে যায়
ভয়ের ধাঁধায় বাঁচা, ঝলসানো চোখ বুকে
আর কতকাল বরং, প্রশ্ন-তুণের থেকে
তর্জনী-তীর খুঁজি —লক্ষ্য বাঁকা সোজায়
না-জানা কাল অন্ধকারে আঁকা
আয়রে আমার সোনা, মানিক দেব গুনে
ছেড়ে বাসি কাপড় কাচা, বিষণ্ণ তর্জায়
ভাবছে লক্ষ্মী প্যাঁচা, সন্ধে হবার ঝোঁকে
সত্যি আলো কোথায় খুঁজে পায়
মায়ার ধাঁধা ছিঁড়ে লক্ষ্মী আলোর খোঁজে
নিজের বুকেই ডুব দিয়েছি তাই
রাস্তা এলো ঘরে, বাড়ানো হাত খোঁজে
হোক না শুরু নতুন ভণিতায়
পায়ের তলায় মাটি, গাছের ছায়ায় হাঁটি
বন্ধ ঘরে স্লোগান হেরে যায় ।
নৌকার ছই ধরে দুলুনি সামলে
অবাধ্য উড়ো চুল আলতো সরিয়ে
ঠোঁট কেঁপে উঠেছিল —এই তো
কয়েকটা দিন, অপেক্ষায় থেকো—
হর্ন দিয়ে বাস ছেড়ে দিলে
জানালায় বাড়ানো মুখ ফ্রেমে বাঁধা ছবি
ধুলো ধোঁয়া মাখা সেই আশ্চর্য বিকেলে
আকাশ বাণীর মতো ভেসে এসেছিল
—এই তো কয়েকটা দিন, অপেক্ষায় থেকো—
বিবর্ণ শব্দের মতো অতীত ফুরোয়
ঘাসফুল বর্তমানে সশব্দ সময়
আনত লুটোয় যেই এয়ারপোর্ট গেটে
ঝকঝকে মেঝে আর কাঁচে মোড়া ক্ষণে
পিছু ফেরা দুচোখের হাহাকার ভাসে