সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
আছড়ে ভাঙব ওই কালো মেহগনির টেবিল-ওপরে
থিতু গ্লোবটিকে।
গ্লোবাটি পুরনো নয় খুব বেশি,
যখন কিনে আনা হয়েছিল সেটিকে
তার চারকোনা মসৃণ বাক্সে ছিল খয়েরি রক্তের দাগ,
আমার স্মৃতিতে খয়েরি রক্তের দাগ রয়ে যায়
রয়ে যায় তার স্থিতিজাড্যতা।
এ যেন বরাহমিহিরের কাল থেকে একভাবে আছে বলে মনে হয়।
অসহ্য অসহ্য এই অপার্থিব প্রেম!
মেহগনির টেবিল-ওপরে সাদা গোলাপদানিটিও থাকতে পারে না
বাস্তবিক পিঙ্ক কালারটি দেখলেই
আমার অশ্লীল ইচ্ছাগুলি জেগে ওঠে
আর বাসি লাল গোলাপ আমি কখনো কিনি না।
একটি শান্ত আগুনও
জ্বলেছিল ঝড়ের আকাশে
দীপিত মুখগুলি বহু…বহু দূরে
আকাশের খোলা বারান্দা থেকে
স্থির তাকিয়েছিল আমাদের দিকে।
আমরাই শুধু বুঝতে পারিনি
কেন খিদে ক্ষোভ নিদ্রায়
অথবা রিরংসায়
ভুলে গেছি বারবার
সে শান্ত আগুনের অনুচ্চ কথকতা।
কথার ভিতরে তাপ নিয়ে
নিভে গেল একদিন সে শান্ত আগুন
অন্তর্হিত হয়ে গেল দীপিত মুখগুলি।
এখনও আমরা ফের একবার
সে আগুন, সে মুখগুলির
সাক্ষাৎ-প্রত্যাশায় দিন গুজরান করি।
হায়রে আমার বেবাক মিথ্যে দিন।
অবিমৃশ্যকারীদের হাতে একখণ্ড শুয়োরের মাংস ধরিয়ে দিলাম
উত্তম রূপে প্রস্তুত,
সোল্লাসে চিৎকার করে উঠল সে।
মুবারক হো কাকা!
এ কী হর্ষ! এ কী নদগুলির বহুতর ক্রন্দন!
যে কোনো প্রকৃত প্রফুল্লতার অভ্যন্তরে আলোর ঝালর থাকে
থাকে শিশিরের ওপরের রোদ্দূর।
তবু আমি কিছুতে হারাতে পারি না এই জ্ঞান
যে আমি বিশ্বনিন্দুক হতে পারিনি এখনো
যা আমি হতে চেয়েছিলাম যৌবনশীর্ষ হতে।
কলাবিদ্যার মারপ্যাঁচ আমাকে প্রতিবার ধরাশায়ী করে ফেলে
প্রতিবার আমি হারাই সত্যকে
যখনই রক্তমাংসের অভ্যন্তরে ধাতব সুদূর টিংটাং বেজে ওঠে
পুরনো রুপিয়া সিকি ও আধুলি
পঞ্চম জর্জের মুখ।
টাঁকশালগুলিতে আগুন জ্বালাতে হবে জানি
কিন্তু আমি এখনো প্রকৃত সমুদ্র দেখিনি।