সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
১.
কী দেখতে চাইছ তুমি ক্যামেরার লেন্স জুম করে—
ক্ষমা চাইবার জন্য প্রস্তুত ছিল না কোনও মুখ
জেব্রা ক্রসিংয়ের সাদা রঙে
হালকা কিছু ছোপ পড়েছিল—লালের
শিল্পের, কৃষির বিপ্লব গিয়েছে বুঝি ওই পথে?
আত্মহত্যার সমৃদ্ধি যোজনা!
কতদূর দেখতে চাইছ তুমি ক্যামেরায়?
তুমিও মেনেছ শেষমেষ—
বহু ডুবন্ত পাহাড় সমুদ্রকে বেঁধে রেখেছে
কথামালার এই দেশে!
২.
প্ল্যাকার্ড জুড়ে দখলদারি
আর ভাবছেন, পরিকল্পনা মাফিক সাফাই অভিযানের কথা
মাদারীর তাঁবু উঠে গেলে,
জয়ের আনন্দ-গান গায় যেভাবে চাপা পড়ে থাকা মাটি
দিন, বড়দিন—আজ!
বাবু-বিলাসের রং মেখে
ভুলে যাওয়া যাবে অচ্ছুত, ছিন্ন জীবনের দাগ
এসব আপনাকে কেন বলছি—
সুখ বলতে কি বোঝায়, পরিণত বোধে জেনেছেন নিশ্চয়?
অসীম সাহসী কেউ এইসব দৃশ্য দেখে,
মাটি থেকে গড়ে তুলেছে পাথর
এবং একটি একটি করে দাগ কেটেছে ক্যালেন্ডারের চৌখোপে।
৩.
প্রবল হাততালির শব্দে দুয়েকটা পাতা খসে পড়ল ডাস্টবিনে
সন্ধ্যায়, বিশেষজ্ঞরা ভাবল—একে অপরকে থামিয়ে বলল অনেক
খুঁজে বের করল, কার্নিশে ফাটল; হলুদ ফুলে বসা প্রজাপতি
এমনকি টবে গজিয়ে ওঠা বুনো আগাছাদেরও
সুসংবাদের আশায়
বিশেষজ্ঞ ও শ্রোতা-দর্শকেরা প্রসঙ্গ থেকে প্রসঙ্গান্তরে যায়
যাহ্! কী ছেলেমানুষি হচ্ছে!—বলে, ফিরেও আসে
এসবের পাশ দিয়েই যদিও চলতে থাকে মঞ্চের কার্পেট গোটানো
কাঠের পাটাতনের পেরেক ওপড়ানো—কেননা, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই যে,
হারমোনিয়াম সংগতে আজীবন, নিয়মমাফিক রেওয়াজ করলেই
ভাষণের বিপ্রতীপে, পরবর্তী শিল্পী হিসাবে...
৪.
অন্ধকার থেকে চুঁইয়ে পড়ে বেদনার নীল রশ্মি
এ কথাটা
কে যেন বলেছিল, কে যেন লিখেছিল—কোথাও!
ঘরের দরজা-জানলা মুড়ে দিয়েছি কালো কাপড়ে
নাবিকের নিশান হয়ে পথ দেখাবে—বেদনার ওই আলো
বদ্ধ ঘরে জমে উঠছে কালো মেঘ,
বিদ্যুতের চকিত ঠাট্টা
বেড়ে উঠছে চুল-নখ
সেসব মেপে দেখে লেখা হবে, হবে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড!
হে বেদনার নীল রশ্মি—
তোমার দেখা পাওয়ার অপেক্ষায় থেকে থেকে ব্যর্থ হয়ে
আমি ক্রমশ জাদুকর হয়ে উঠছি!