সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
ফিরিয়ে দেওয়া কঠিন ছিল না তত...
ছুঁতে পারা তীরে নৌকাডুবির দাহ!
পায়ের বিলাপে নোঙর বাড়ালো ক্ষত...
নিরবধি, তাও জেগে ছিল আগ্রহ!
দেরি হয়ে যায়, মাঝির বারতা শুনি;
ডুবছে ভাসছে, এসেছে কখনো কাছে...
নির্জন ভোরে অবহেলা খুঁজে গুনি..
যেটুকু পেলাম তাই কী ফেরাতে আছে!
দিনান্ত পথে একাকী রোদের ছায়া,
মেঘ অহরহ তৃষ্ণাকে পিছু ডাকে...
অতল দহনে পোড়া ছাই খোঁজে মায়া;
পরিযায়ী চেনে শীতের উষ্ণতাকে!
নিরস্ত্র থাকি, জীবন, সাজিও ব্যূহ...
দু'চোখে এমন মেঘ নেমে আসা ভালো!
অবুঝ বরষা পাড়ি দেয় মহীরুহে..
ভেজানো আগলে শিকল চুঁইয়ে আলো...
অবোলা স্মৃতিও বারবার হেঁটে আসে...
কাঙাল, তবুও গোপনে বিষাদ মাখি!
পরমায়ু নয়, বিষটুকু ভালোবেসে...
তীব্র গহনে জীবনকে ডাকাডাকি!!
অভিমান যথারীতি বিধিসম্মত হাঁটা ভোলে;
অতীব দুরূহ জেনে চোখ ভেজে সহায়সম্বলে
মাঝপথে নেমে যেতে শেখেনি সে সাঁতারের লোভে;
তাই বুঝি অবহেলা অযত্ন অপেক্ষা সম্ভোগে
কিঞ্চিৎ জীবনের যাবতীয় আয়োজনে বিধিবাম;
তবুও বালাই ষাট, ব্যাকরণ দুচ্ছাই... " ভালোবাসিলাম!
এখনো তোমার স্বরেদের দোলাচলে...
অনায়াস ভরি পলাশের রাঙা মুঠো!
হারিয়ে ফেলার ধারাপাত বিন্যাসে
বাংলা নামের অযাচিত খড়কুটো!
এখনো তোমার যত্নে লালিত হাতে
সিঁদুরে মেঘের বারোমাস্যা সাজে!
শ্রাবণ এর মতো এলোমেলো থই থই....
কৈশোর টানে অভিমান কিছু বাজে!
এখনো তোমার মর্যাদা অপব্যয়ে
অবনত মাথা, আকুল বৃষ্টি গুনি!
মন-কেমন আর বিষণ্ণতার রাতে
চিবুক ঠেকাই,অক্ষর স্নান শুনি!
এভাবেই থাক মননের যাতায়াত
বিপন্ন এক ঘরকন্নার কাছে;
চৈত্র দিনেও ফুল ফোটাতে পারে
আমার আঁচলে এমন ভাষাই আছে!!
চলো খুলে ফেলি অবসাদের ভ্রূক্ষেপ
ভয়ের অন্ত্যমিল
ঈর্ষার সোঁদা গন্ধ
বরং ধাক্কা খেতে খেতে চলি,
সমাজের খেই হারিয়ে ফেলি,
অন্ধকারে জ্ঞানশূন্য হই!
পৃথিবীর তলদেশ থেকে তুলে আনি গভীর অসুখ;
বরং ধরে নেওয়া যাক, হেরে যাওয়াটাই লক্ষ্য
মুঠো ভরে থেকে যাক বিস্ময়,
শুধুই বিস্ময়
যত বিশ্রী ক্ষত তত যুদ্ধজয়
মুখোশ ছুঁয়ে সূর্য ওঠে ওই,
ঠিক যেখানে মরা নদীর বাঁকে
কথাগুলো ফেলনা মনে হয়...
প্রতিশ্রুতি অবাধ জলে কাঁপে!
ঘরের মধ্যে জ্বলছে ধুধু বালি,
ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে ব্যথার গ্রাম;
এখনো তো জ্বলন্ত রাত ধরে
অলীক স্নেহে লিখেছি তোর নাম!
ঠোঁটের ভারে যেমন হেঁটে যাওয়া,
ফেরা আবার স্মৃতি সুতোর টানে;
হু হু করে বাড়তে থাকা শীতে
পশম জানে অপেক্ষাদের মানে!
মেঘ ভিখারি হয়েও পুড়ি রোদে,
রান্নাঘরে সাজাচ্ছি প্রাণপণ...
লন্ঠনেরই উপুড় করা আলোয়
যুদ্ধজাহাজ ;নিরিবিলি কোণ!
ডানায় যখন সাহস নেভে রোজ,
বাসি রক্ত ব্লটিং পেপার খোঁজে!
বিয়োগ নিয়ে খেলার শেষে তাই
যোগের দেশে আত্মীয়তা বোঝে!
অজুহাতের নিপুণ পথের শেষে
ক্ষমা তোমায় দিয়েছি সওগাত....
থার্মোমিটার ভাঙ্গা পারদ জানে
ঠিক কতটা ছেড়েই গেছে হাত!
বসন্ত শেষ, নির্বাসনের পথে...
ভালোই আছি; তুমি এখন ভালো?
আটকে থাকে শহর জলছবি...
শরীর মাপা গোপন ইচ্ছেগুলো!
ভেড়ার পালের মতোই সন্ধে নামে,
জন্মদিন একলা পড়ে থাকে,
আকাশ ভর্তি কালপুরুষের ঘ্রাণে
অবহেলা মেঘ জমিয়ে রাখে!
সময় থামে ঝড়ের আয়োজনে;
কথা ভাঙার গল্পে নৌকো ভাসে...
দৃশ্যের পর দৃশ্য জমায় পাথর,
ইনবক্স তাও আপোস ভালোবাসে!
যেসব ব্যথা রাতের উদযাপনে
প্রশ্ন ফেলে নিয়ম করে বাঁচে;
নীরবতার ভ্রমণ শেষে হাঁটা...
একাই হেলান অবিশ্বাসের আঁচে!
বুকের ভেতর আটকে গেছে ঘুড়ি;
তাইতো আকাশ একলা আছে আজো!
স্বজন চেনা ভিড়ের ওজন মুঠোয়,
অবাক দাপট শূন্যস্থান সাজো...
ভুলের খাতায় অনেক যত্ন করে
নিখুঁত হিসেব ;টাটকা গভীর ক্ষত!
হাসতে হাসতে ছায়ার অভিনয়ে
আহত হই আবার, অবিরত....
কতটুকু ব্যথা দূর থেকে বোঝা যায়!
কতটা জটিল সহজ হতে চেয়ে
কত রোদ্দুরে যুদ্ধের পাহারায়
শান্তি কিনতে চাইছে একলা মেয়ে!
তোমরা ভাবছো আপোসটা দরকারি;
সংঘাত শুধু পুড়তে পোড়াতে জানে
মেয়েটা দেখছে তুল্য মূল্য জারি
সমাজ বনাম ভালোবাসার মানে!
প্রতি রাতে ভাবে কালটা নতুন পাবে...
এতোটা হোঁচটে বুঝি বা সারলো ঘা!
অবহেলারাও কিছুটা ক্লান্ত হবে;
আদরে সারবে আহত কঠিন পা।
এমন কতই সাধ্য সাধনা বেয়ে
জীবন কুড়োয় অবিশ্বাসের ধুলো;
একটা ঘরের আকাশ হাঁটতে চেয়ে
সে মেয়ে হারালো সামান্য চালচুলো!