সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
সমাজ অর্থনীতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক ত্রৈমাসিক
কালধ্বনি
In Search of a decent living
জীবনের অন্বেষণে
পূরবী আঁকতে হলে
আমি তোমাকেই ভেঙেচুরে
গোধূলি-বিলাস করে দেবো;
গোপন সাঁতার দেবো, পাতার কম্পন দেবো
চুম্বন চন্দন দিয়ে
আকাশ ললাটে লিখে দেবো
নিষাদ মাথুর
প্রবাহে লবণ এলে
সমুদ্র উঠে আসে চোখে, তাই
লাবণ্য দেবোনা আর
হাসির বিলাপ দেবো শ্রবণে তোমার;
পথ খুঁড়ে দেবো ক্ষুধা দিয়ে...
ব্যথার
প্রদাহ লেগে
ঋষভ কোমল হয়ে বেজে ওঠে যদি রঙের গভীরে
তবে তো দিনান্ত হবে, বলো!
পূরবী আঁকতে হলে
আমি হেমন্ত বুনে দেবো
তোমার কুসুমে
জানি না কিছুই
জানি না কেন ব্যর্থ ছবির ভিতরে
রয়ে যায় কিছু আলো ও স্পর্শ,
কেন যে উচ্চহাসিতে
মালিকানাহীন
অতীত গেলাস ভেঙে যায়
জানিনা কখন ডালঘেঁষা ফুল
ঠোঁটে তুলে নেয় রোদ ও লবণ
এরপর চলে যেতে হয়
এরপর চলে যেতে হয়
কী চাও বলো -- স্পর্শসুখ?
স্মৃতি এবং সন্ধ্যা?
বরং দিলাম বালকবেলার
শ্রাবণ বারান্দা...
বারান্দাতে গ্রিল ছিল না
বৃষ্টিকথায় ভাসতো,
কথার পিঠে বসতো ছবি
সবুজ, এবং জ্যান্ত
জ্যান্ত ছিল উঠোনপাড়ে
তুলসীমঞ্চ, ছায়া,
অন্নকাঁথা, ভেজা বিকেল,
আগুন এবং ধোঁয়া
এখন ধোঁয়ার বিশীর্ণতায়
আছি, এবং নেই
রংমিলান্তি তাস ফেলেছি
ক্লান্তিনদীতে
নদীর বুকে জলবসন্ত
বালি, এবং জ্বর;
প্লাবন এলে ফিরিয়ে দেবে
পলিমাটির ঘর
ইচ্ছে হয়ে আছি;
সেজেগুজে শাদা হয়ে আছি,
কেউ যদি কিছু লিখে যেতে চায়!
গৃহ লিখে, ছায়া লিখে, নিজেকে নগ্ন করে
জন্মঋণ লিখে যেতে চায় কেউ!
নাহয় দুঃখ লিখুক ধার ঘেঁষে,
চোখের আড়াল করে; অবশেষ কিছু
রোদনকণিকা দিয়ে এঁকে দিক
তার সব দাহ ও শ্রাবণ...
খুব ভালো হয় কেউ যদি
উষ্ণতা লিখে যায়...
শীত তো আসছে হেমন্ত বেয়ে
যে লেখে লিখুক যা খুশি
তুমি শুধু আলো লিখে দিও সন্ধ্যার আগে
কিছু একটা হোক...
পরিমিত হাততালি হোক
শনিবারে ফুলকপি হোক
'ভালো থেকো' বলে রূপশালী পথ
চলে যাক আপনার পরিযায়ী পথে
কথার খেলাপ হোক;
কিছু একটা শুরু হয়ে
অন্যকিছু হয়ে যাক মাঝপথে...
প্রভুর চরণে রাখা প্রণামী থালায়
আজ রাখা থাক মাটি ও লবণ...
অপার সবুজ হয়ে যাক ফসলের মাঠ।
আকাশ অংশত মেঘলা থাকুক;
উষ্ণতা হোক,
আর জমা হোক বিষাদ গেলাসে
বিদ্যুৎ-বিভা কিছু...
সব জল জাহ্নবী হোক, প্রহরা সতর্ক হোক;
তরবারী হেরে যাক সরোদের কাছে...
বালি ভরি আমরণ বস্তায়--
ফেলে দিতে হবে হৃদয়ের
অনিকেত শিকড় সমীপে
জল উঠে এলে
পাড় ভেঙে যাবে রাত্রেই
ঝরে যাবে পরিযায়ী বালি
ফুটোফাটা বুকের উঠোনে--
এই ঘরে সঞ্চয় রাখা ছিল!
প্লাবনের ভয় নেই আর;
ভাঙন দেখেছি রোজ
বীতশোক পাড়ের পাঁজরে
শিরায় লেপেছি মাটি
ক্ষত মুছে দিতে
আজ এই কলরোল যদি
মুছে দেয় অশ্রুদাগ, স্মৃতি,
যাপনের ক্লেশচিহ্ন যত
তবুও মাটির ঋণ,
প্রবাহের প্রতিকূল কিছু
দীর্ঘশ্বাস, চোখের লবণ কিছু
থেকে যাবে নাচার ভিটেয়
দুহাতের আতুর ভিটেয়...